ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, প্রতি মাসে গড়ে ৪০-৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে চীন যাচ্ছে। আগে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য পাঁচটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হলেও এখন চীনের সব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান রাষ্ট্রদূত।
মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত চীনে চিকিৎসা নিতে যাওয়াদের পরিসংখ্যান জানতে চাওয়া হয় ইয়াও ওয়েনের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন বাংলাদেশি চীনে চিকিৎসা নিতে গেছেন এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না। তবে প্রতি মাসে গড়ে ৪০-৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে চীন যাচ্ছে। সংখ্যাটি খুব বেশি নয়। আগে বাংলাদেশির চিকিৎসার জন্য পাঁচটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হলেও এখন চীনের সব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে হাসপাতাল স্থাপন করবে চীন।
দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের দেশের বাইরে সবচেয়ে স্বস্তির গন্তব্য ভারত। গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর প্রতিবেশী দেশটিতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এরপর দেশটির সঙ্গে পুরোনো সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়, যার প্রভাবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করে ভারত। ভারত সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ভিসা দিলেও তাতে অস্থিরতা দূর হচ্ছে না।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে চীনের তিনটি সরকারি এবং একটি বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য ঠিক করে দেওয়া হয়। পরে আরো একটি হাসপাতাল যুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল কুনমিং যায়।