চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন বর্ধিত মাশুলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে রুল নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিতে বলেছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ) এর দায়ের করা রিট আমলে নিয়ে রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ফররুখ রহমান। তিনি জানান, আদালত বন্দরের মাশুল বৃদ্ধির বৈধতা যাচাইয়ের জন্য রুল জারি করেছেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে, নতুন ট্যারিফ সিডিউল কেন বেআইনি বা আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না।
বিসিএসএ-এর সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, বর্ধিত মাশুলের কারণে শিপিং লাইনে খরচ বেড়ে গেছে। শিপিং কোম্পানিগুলো খরচ বাড়াতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানাচ্ছে। আমরা তাই আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে রুল জারি করেছেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহারের জন্য পোর্ট ইউজার্স ফোরাম ১৮ অক্টোবর এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যদি মাশুল ইস্যু সমাধান না হয়, তবে তারা বন্দরে কাজ বন্ধ করার ঘোষণা দিতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালে বিদেশি বরাদ্দ রোধের দাবিতে বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) বুধবার নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে তারা চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। কারণ, নগরের বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে বন্দর পর্যন্ত এলাকায় সভা-সমাবেশ আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বর্ধিত মাশুল কার্যকর করেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্দর বছরে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা লাভ করছে। তাই মাশুল বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে তা নির্ধারণ করা উচিত।
আমার বার্তা/জেএইচ