ই-পেপার রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

২০১৮ সালের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদনের আদেশ স্থগিত

আমার বার্তা অনলাইন
২৯ জুন ২০২৫, ১০:১৬

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদন ও গ্রহণ করে ২০১৮ সালের আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে যে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ, সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।

রোববার (২৯ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য ৫ জন হলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

এ আদেশের ফলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টে যে রিট শুনানি চলছে, তা নিষ্পত্তি করতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে গত ২৬ জুন নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধির বহুল আলোচিত গেজেট গ্রহণ করে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে সেদিন রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আজ শুনানিকালে বলেছি যে বিচার বিভাগকে “অ্যাসল্ট করে” এই শৃঙ্খলা বিধি গ্রহণ করা হয়েছিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। কারণ, তার আগে নয়জন বিচারপতি এ বিষয়ে ভিন্ন আদেশ দিয়েছিলেন। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তৎকালীন সরকার বাধ্য করেছিল নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের গেজেট সংক্রান্ত আদেশ দিতে। এটি দ্রুত রিভিউ করা প্রয়োজন বলেই আদালতের অনুমতি নিয়ে রিভিউটি করা হয়েছে।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১. সংবিধানের ১৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সব বিভাগের কাজ সার্ভিস অব রিপাবলিকের ভেতরে পড়বে। তবে বিচার বিভাগের কাজ ও অবকাঠামোর সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সিভিল সার্ভিসের অনেক ভিন্নতা রয়েছে।

বিচার বিভাগকে অন্যান্য সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে একত্রিত করা যাবে না; ২. বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা এবং নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারিক কাজ করতে পারবেন না; ৩. সিভিল সার্ভিস অর্ডার ১৯৮০ অনুযায়ী সব ম্যাজিস্ট্রেটকে পিএসসির অধীনে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়। একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া সংবিধান পরিপন্থি; ৪. এই রায় পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা এবং কমিশন গঠন করতে হবে; ৫. সংবিধানের ১১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়ারির সবার চাকরির বিধিমালা (নিয়োগ, পদায়ন, বদলি পদোন্নতি ও ছুটিসহ অন্যান্য) প্রণয়ন করবেন; ৬. রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশন বিধিমালা প্রণয়ন করবে; ৭. সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে; ৮. বিচার বিভাগ জাতীয় সংসদ বা নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকবে না এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব বিচারক স্বাধীনভাবে কাজ করবেন; ৯. জুডিশিয়ারির (নিম্ন আদালত) বার্ষিক বাজেট প্রণয়নের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো হাত থাকবে না।

এই বাজেট সুপ্রিম কোর্ট প্রণয়ন এবং বরাদ্দ করবে; ১০. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা প্রশাসনিক আদালতের আওতাভুক্ত থাকবেন; ১১. এই রায় অনুযায়ী বিচার বিভাগ পৃথককরণের জন্য সংবিধানে কোনো সংশোধন করার প্রয়োজন নেই। তবে পৃথককরণ আরও অর্থবহ করতে যদি সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তবে তা করা যাবে; ১২. জুডিশিয়াল পে-কমিশন: জুডিশিয়াল পে-কমিশন জুডিশিয়ারির সদস্যদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত বর্তমান অবকাঠামো অনুযায়ী তার সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। ২০০৫ সালে এই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

আমার বার্তা/জেএইচ

ছাত্রদল নেতা জনি হত্যা : ৬২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

পুলিশ হেফাজতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রদল নেতা মো. নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবের

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক

ওয়াকফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠিত

ওয়াকফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ হতে এ

সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির মামলায় আসামি সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালি পেটে যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় এবং কেন?

বিশ্ববাজারে সর্বনিম্ন দামে মিলছে স্বর্ণ

ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করা হয়

১৮তম নিবন্ধনে ফেলদের এনটিআরসিএ ঘেরাও, পুলিশের লাঠিচার্জ

রোহিঙ্গা-রাখাইন সহবস্থান নিশ্চিতে আরাকান আর্মিকে উদ্যোগী হতে হবে

আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি : আলী রীয়াজ

বিজয় সরণিতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জার্মানিতে নিষিদ্ধ হতে পারে ডিপসিক

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে এনসিপি ‘র কর্মসূচি ঘোষণা

হাসপাতালে ফজর আলী, বাকি চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

সরকার ব্যর্থ হওয়ায় জুলাই সনদ প্রকাশ করবে এনসিপি: নাহিদ

ভারতে রথযাত্রায় পদদলিত হয়ে ২ নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু

ছাত্রদল নেতা জনি হত্যা : ৬২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

গাইবান্ধায় ‘ধর্ষণের’ শিকার শিশু, গণপিটুনিতে অভিযুক্ত নিহত

দ্বিতীয় দিনের মতো হিলি স্থলবন্দরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন

‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ করবে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

তেজগাঁওয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

তিতাস গ্যাস ২৮৩ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে

কামরাঙ্গীর চরে ৬ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে এক যুবকের মৃত্যু