
জাঁকজমকপূর্ণভাবে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনার ৬৫তম জন্মদিন উদযাপন করলো ইতালির শহর নাপোলি। এসময় নেচে গেয়ে, আনন্দ উৎসবে মাতেন নাপোলির সাধারণ ফুটবল ভক্তরা। মানুষটা আর্জেন্টিনার হলেও, ফুটবল যে ম্যারাডোনাকে চিরদিনের জন্য আপন করে গেছেন ইতালিয়ানদেরও। তাই তো, জন্ম কিংবা মৃত্যু দিবসে আজও মহা সমারোহে স্মরণ করা হয় এ কিংবদন্তিকে।
নাপোলির পথে যেন প্রাণের সঞ্চার। বড় একটা পিকআপের ওপর দাঁড়িয়ে ফুটবল ঈশ্বর। ঝাঁকড়া চুল, ফুটবল পায়ে যেন এখনই জালে জড়াবেন বল। ভক্তদের বুঁদ করবেন ফুটবলের উন্মাদনায়। তিনি আর কেউ নন, ফুটবলের জাদুকর দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ৬৫ তম জন্মদিনে ভক্তদের সঙ্গে আবারো পথে নেমে এলেন উদযাপনে। ব্রোঞ্জের জার্সি গায়ে যেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন চিরচেনা সেই নাপোলির পথে পথে। আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা যে ইতালিরই বেশি আপন।
ফুটবল ঈশ্বরের ৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নাপোলির পথে উৎসবের আমেজ। কিংবদন্তিদের যে মৃত্যু নেই। সেই উপলব্ধি আরও একবার পেলো ম্যারাডোনা ভক্তরা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাদুঘর থেকে বাইরে বের করে আনা হয় তার স্ট্যাচু। ডেমোনিকো সেপের এই মূর্তিটিকে উন্মুক্ত রাখা হয় ভক্তদের জন্য। স্ট্যাচুটি নিয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করানো হয়। জন্ম আর্জেন্টিনায় হলেও ইতালির নেপলস যেন তারই শহর। ম্যারাডোনার সেই মূর্তি দেখে কেউ আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন, কেউ আবার ফিরে যান পুরোনো দিনে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ভক্তদের একজন বলেন, ‘দিয়েগো মারা যাননি। তার দেহ মারা গেছে, কিন্তু তার আত্মা বেঁচে আছে আমাদের নেপোলিটানদের ভেতরে। তাকে ভালোবাসে এমন সকল মানুষের ভেতরে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। আমি বছরের পর বছর ধরে ডিয়েগোর জন্মদিন উদযাপন করে আসছি। দিয়েগো আমার মনে সব সময় উপস্থিত থাকে।’
অরেকজন বলেন, ‘দিয়েগো হলেন আবেগ, ভালোবাসা আর ইতিহাস। তিনি নেপোলিটানদের জন্য একজন সত্যিকারের ঐতিহ্য।’
আরও এক সমর্থক কিংবদন্তির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেন, ‘ম্যারাডোনা হলেন ঐক্য। তিনি মানুষকে একত্রিত করেছেন। তাকে ধন্যবাদ।’
ম্যারাডোনাকে ইতালিয়ানরা নিজেদের ইতিহাসের বড় একটি অংশই মানেন।
আমার বার্তা/এল/এমই

