
ষাটোর্ধ মোহাম্মদ সেকান্দর। তাকে অপহরণ করার ঘটনায় আৎকে উঠি। সীতাকুণ্ডের পরিচিত মুখ সেকান্দর। বয়সে আমাদের বড়। একসময়ে একসাথে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের সারথি। এখনো দেখা- সাক্ষাৎ হলে কুশলাদি বিনিময় হয়। এমনিতে নম্র, ভদ্র ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সকলের কাছে বেশ পরিচিত। সমকাল রাজনীতিতেও দীর্ঘ বছরের ত্যাগতিতিক্ষা আছে।
জাসদ ছাত্রলীগ থেকে জাতীয় পার্টি এবং পরে বিএনপি'তে এসে থিতু হন। যাক, রাজনীতিতে পালাবদল আছে। পাশাপাশি সামাজিক অবস্থানও একেবারে কম না। স্ত্রী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বড় ছেলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী। ভাই-স্বজনদের অবস্থানও যথেষ্ট ভালো বলা যায় এলাকাতে। তারা সবাই চাকরিজীবী। ধন-জনে কোনো আংশে কম না। এ অবস্থায়ও অপহরণ করা সাহস দেখিয়েছে দূর্বৃত্তরা। হয়তো সেদিন আরো বড় ধরণের ঘটনা ঘটে যেতে! তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধু মো. নূরু নবী অপহরণের শ্বাসরুদ্ধকর এ কাহিনী জানালেন। গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে তাঁকে বাঁশবাড়িয়ার জোড়বটতল এলাকায় দুর্বৃত্তরা অপহরণ করার চেষ্টা করে। ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে চলন্ত গাড়ি থেকে নামিয়ে পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেলের দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। ওইসময় চিৎকারে শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং একজন অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
শিক্ষিকা লিলি ম্যাডামের স্বামী মো. নূরু নবী আরো বললেন, ওইদিন তাঁকে সীতাকুণ্ড বাজার থেকে গাড়িতে উঠিয়ে দেন। এ ব্যবসায়ী বন্ধুর ধারণা, দুর্বৃত্তরা পূর্ব থেকে তার গতিবিধি লক্ষ্য করে আসছিল। গাড়িতে উঠার সাথে সাথে মোবাইল ফোনে তাদের সাঙ্গপাঙ্গকে জানিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তরা গাড়ির গতিরোধ করে জোরপূর্বক তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে অপহরণের চেষ্টা চালায়। যাত্রীরা শত বাঁধা দিয়েও দুর্বৃত্তদের থামাতে পারেনি। দুর্বৃত্তরা দলবলে ভারি ছিল। সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই মো. রাসেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বললেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানা মামলা নাম্বার ৪৯, তাং ২৭/১০২০২৫ইং।
অতঃপর এ ঘটনা বলে দিচ্ছে যে, দেশের আত্মসামাজিক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে–মানুষের কোথাও একটু ক্ষাণিক নিরাপদ স্থান নেই; রীতিমতো ঘর থেকে বের হতেও ভয় পায়, আবার সুস্থ ও নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারবে কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। অথচ জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। ফেব্রুয়ারীর প্রথম সাপ্তাহে বা দ্বিতীয় সাপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যা কিনা সর্বসাকুল্যে তিন মাস রয়েছে হাতে, এখন থেকে দিনক্ষণ-গণনা শুরু হওয়ার কথা। সঙ্গে জনগণকেও নির্বাচনমুখী ধাপিত করার প্রধান কার্যাতে পড়ে সরকারের। অথচ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র, সর্বত্র বিরাজ করছে ভয়ভীতি।
রাজনীতি দলগুলো এখনো স্থিতিশীল অবস্থায় আসতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনারও এখনো ঘোষণা দিতে পারেননি নির্বাচন কোন পদ্ধতি বা ফর্মুলায় হবে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট বিষয়ে অনেকটা কাছাকাছিতে এলেও আরো কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে নীতিগত অনড় দেখা যাচ্ছে– জামায়েত সহ একাধিক দল দাবি করছে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচন। বড় দল হিসেবে বিএনপি বলছে, পিয়ার পদ্ধতি নির্বাচন সম্পর্কে সাধারণ জনগণের ধারণা নেই, এ নির্বাচন পূর্বকার অবস্থায় আসন ভিক্তি হলে জনগণ অংশ নিতে সুবিধা মনে করবে। এদিকে এনসিপি ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তোড়জোড়ে রয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে। ঐকমত্য কমিশন এ-ও দাবি উত্থাপন করছে, নির্বাচন কোনপদ্ধতি হবে প্রয়োজনে তা "হ্যা- না" গণভোটে জনগণের মতামত দিতে হবে।
এ চর্তুমুখি দাবি আর সংশয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাবুডুবু খাওয়া অবস্থা। এর মধ্যে যেন সরকার গোখরো লেজে পা দিয়েছে। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনেল) মামলায় ১৬ জন উর্ধতন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। তাদের ১৫ জনকে ২২/১০/২০২৫ইং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনেলে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। নজির বিহীন এ ঘটনায় দেশে ও বর্হিবিশ্বে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্বাধীনতার এ যাবতকাল দেশে এমন ঘটনার নজির নেই। এতে জাতিয়নিরাপত্তা বিনিষ্ট, হুমকি ও স্থিতিশীলতার মধ্যে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশের এসকল জেনারেলদের বিচারে জাতিসংঘের সমর্থন রয়েছে বলে নানাভাবে প্রচারও চলছে। তবে এ দাবি কতটুকু বিধিবদ্ধ বা ন্যায়সঙ্গত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেনা আইন ও বিশেষ টাইব্যুনাল পরস্পর বিপরীতমুখি অবস্থানে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা ও স্বরগোল চলছে সর্বত্র। এরমধ্যে কথিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও পূর্ণোদ্যমে সমর্থন দিয়ে বসেছে এ বিচার কার্যাদি। এটিও নজির বিহীন উদাহরণ বলতে হয়–সচারাচর দেখে আসছে জনগণ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবস্থান সবসময়ই ভিকটিমের পক্ষে থাকে, যাতে করে ভিকটিম তার আইনাগত অধিকার থেকে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত না হয় এবং দেখভালসহ আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে। সেখানে সেনাদের বিরুদ্ধে অবস্থান! সঙ্গে জাতিসংঘ চাপ বাড়িয়ে দেয়। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের বেশকিছু নারী পুলিশ দেশে পাটিয়ে দেয়। সবমিলে জাতীয় নিরাপত্তা বড়ই নাজুক অবস্থায় এসে ঠেকেছে। এ অবস্থায় দেশে বর্হিশত্রুর অবস্থানও পুনঃমূল্যয়ন ও বিশ্লেষণ করা উচিত এবং বর্হিশক্তির আক্রমণ সংঘটিত হলে তা ঠেকানো কঠিন হয়ে যাবে। যার কারণ- সেনাদের চেইন ইন কমান্ড ভেঙে পড়েছে। জাতীয় ল-ইন কমান্ড পালনে জনবল ও জনশক্তি অনেকটা ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা ঠেকেছে । সব মিলেই জাতি হিসেবে টিকিয়ে থাকা বড় ধরণের চ্যালেংঞ্জি সম্মুখিন দেশ। এমনিতে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন থেকেও নেই। পুলিশ প্রশাসন এক পা সামনে দিলে তিনবার ভাবনা-চিন্তা করতে থাকে । এমতাবস্থায় তাদের দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করা কঠিন হয়ে যাবে। যদিও বা মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তবে সেনাদের কাজ তো টহল দেয়াতে সীমাবদ্ধ থাকবে–বড় ধরণের দাঙ্গাহাঙ্গামা সংঘটিত হলে তা প্রশমিত করবে। তবে তাদের দিয়ে জনে-জনে বিরোধ ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে; যেহেতু ল-ইন অর্ডার প্রয়োগে বা না প্রয়োগে জবাবদিহিতা রয়েছে– কিছু একটা সংঘটিত হলে এ ভাবনায় ও জবাবদিহিতার মধ্যে পড়ার চাপে রয়েছে। এরমধ্যে তীব্র চাপে মুখে রয়েছে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রশাসন। বিগতদিনের বিতর্কিত নির্বাচন তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা কি-না ছিল নিরেপক্ষ নির্বাচনে অন্তরায়। কথা ওঠেছে, তাঁরাও ছিল জনপ্রশাসনের-এ ল ইন অর্ডার বাস্তবায়নে, যা কি-না আগেভাগে দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করা। এতে জনগন নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়ে এবং অনেকটা গণতান্ত্রিক অধিকার হারায়। ল ইন অর্ডারে সর্বোচ্চ জনপ্রশাসনের দুই নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও কে এম নুরুল হুদা গ্রেফতার রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তিনটি নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য সাবেক প্রধান বিচারপ্রতি খায়রুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাও জেল হাজতে রয়েছেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এসিল্যাণ্ড, টিএনও ও ডিসি, ওই কথিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করে। তার সাথে স্ব স্ব বিভাগীয় আমলারা, যারা কি-না প্রশাসনিক কার্যক্রম দাপিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁরাও কি এ ল-ইন অর্ডারের আওতায় আসবে? কিন্তু ক্রমাগত জ্বালাও পোড়াও ও মব বাইলেন্স সংগঠিত হওয়ার যে ঘটনা–এসব ঘটনার দায় কে নেবে? সাম্প্রতিক এসব নাশকতামুকক ঘটনা ভয়াবহরূপ নিয়েছে। যা কিনা কবর থেকে পর্যন্ত মৃতদেহ উঠিয়ে আগুণে পোড়ানোর ঘটনা বিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে দেখেছে! কি হচ্ছে এসব দেশে; এসব ঘটনা আহেলিয়া ও জাহেলিয়া যুগকেও হার মানিয়েছে। এরপর সংঘটিত হয় স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ১৮ অক্টোবর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সংঘটিত আগুনে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ পুড়ে ভস্মীভূত হয়। যা কিনা কোনভাবেই পুষিয়ে ওঠার নয়। এ আগুন জাতিকে স্তম্ভিত করে তুলে। পুরো জাতির দৃষ্টি ছিল আগুন সংঘটিত হওয়া ওই ইয়ার পোটের দিকে। কিন্তু কিছু করার ছিল না- আফসোস করা ছাড়া। আর এর একদিন আগে, চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাত (ইপিজেড) এলাকায় ৯ তলা বিশিষ্ট ভবনের একটি সুতা ও টেক্সটাইল কারখানায়ও ভয়াবহ আগুন সংঘটিত হয়। অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেডে সংঘটিত এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি ছেড়ে যায়। তখনও কর্মরত ৫০ জন শ্রমিক নিখোঁজ ছিল।
৮ এপ্রিল সাভারের আশুলিয়া অপর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো এলাকা ও জনবসতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫ জন দগ্ধ হয়। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ৫শ' কোটি টাকার ছেড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।
২ আগষ্টের ঘটনাটি জাতির হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একটি প্রশিক্ষণরত সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় কবিলত হয়ে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ৩৪ জন ছাত্র-শিক্ষাক মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান। মারাত্মক আহত হন আরো অর্ধশতাধিক ছাত্র-শিক্ষক। এটি ছিল এযাবতকালের সব চাইতে ভীবৎষ ও লোমহর্ষ দূর্ঘটনা।
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে লেখতে দীর্ঘশ্বাস আসে– এ পর্যন্ত ৮-১০টি আর্টিকেল লেখা হয়। প্রতিটি লেখায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ পায় এবং কোনভাবেই বন্দর হাত ছাড়া করা যাবে না, এমন সর্তক বার্তাও দেওয়া হয়। বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড। যেভাবে হৃদপিণ্ড বিহীন দেহ মূল্যহীন, তেমনি চট্টগ্রাম বন্দর বিহীন দেশের অর্থনীতির স্পন্দন অচল। তাই ভবিষ্যতে বন্দর নিয়ে প্রদক্ষেপ নিতে ভেবে-চিন্তে নেয়া উচিত। এর মধ্যে কানাঘুষা চলছে ডিসেম্বরে বন্দরের সকল কার্যক্রম বিদেশীদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে। এ খবরে চট্টগ্রামসহ পুরো দেশ নড়েচড়ে বসেছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠনসহ আপামর জনগণ তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভে ভাসছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অনড়।
গত ১১ অক্টোবর এক সেমিনারে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এ অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে বিদেশি কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের প্রতিবেদন বিগত ৬ মাস পূর্বে হাতে পৌঁছেছে। সঙ্গে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও বে-টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান। তবে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, দেশের নৌ বন্দর এভাবে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেয়ার সুযোগ নেই; এটাকে তাঁরা সার্বভৌমত্বের হুমকিস্বরূপ দেখছেন।
এছাড়া ২০২০ সালের ওই চুক্তি পতিত সরকারের আমলে করা; আর পতিত সরকার হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! ওই সরকার যদি ফ্যাসিস্ট হয় তাহলে তাঁর কার্যক্রমও ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ। বে-টার্মিনাল নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চুক্তি শেখ হাসিনার আমলে করা। এসব চুক্তিও অসংগতিপূর্ণ ও দেশের স্বার্থবিরোধী। ওইসব চুক্তি ও কালাকানুন বাতিল করতে হবে। শেখ হাসিনার কোন আইন এ দেশে চলতে পারে না। অবিলম্বে বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেশীয় অপারেটর নিয়োগ দেয়া হোক। বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বে-টার্মিনাল নির্মাণে হাসিনার ওই চুক্তিও বাতিল করতে হবে।
লেখক: কবি, গবেষক ও কলামিস্ট।
আমার বার্তা/মিঁঞা মুহম্মদ জামশেদ উদ্দীন/এমই

