কাজের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিক মিনারুল শেখ। থাকছিলেন দিল্লির নালাসোপারা এলাকায়। সেখান থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরা পড়েন তিনি। এরপর বিএসএফ ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও তাকে জোর করে পুশইন করে বাংলাদেশে।
অবশ্য শেষ পর্যন্ত ওই যুবককেই ভারতে ফিরিয়ে নিয়েছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। তার সঙ্গে ফিরেছেন আরও দুই ভারতীয় নাগরিক। যদিও স্থানীয় পুলিশ দাবি করেছে, ওই তিন যুবক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেসময় তারা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির হাতে ধরা পড়েন।
মিনারুলদের অভিযোগ, গত ১৩ জুন মধ্যরাতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে তাকেও জোর করে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়। চিৎকার করে বারবার বলেছিলেন তিনি ভারতীয়, এ সংক্রান্ত সব নথি ও পরিচয়পত্র তার কাছে আছে। কিন্তু সেসব কথা কানে না তুলে তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা ও সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
এ অবস্থায় বাংলাদেশে গিয়ে বিজিবির হাতে ধরা পড়েন মিনারুলেরা। গত ১৪ জুন বাংলাদেশের কয়েকজন যুবক মিনারুলদের দুর্দশার কাহিনী নিয়ে একটি ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক কাঁদতে কাঁদতে বলছেন– বিএসএফ মারধর করে সব জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা। ভিডিওতে আরও এক যুবককে দেখা যায়। তিনিও একই অভিযোগ করেন।
তারা বিজিবির হাতে ধরা পড়ার পরই তৎপর হয় ভারতের কোচবিহার পুলিশ। জানা যায়, মিনারুলেরা ভারতীয় নাগরিক। সে কারণে শেষ পর্যন্ত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের ভারতে ফিরিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, তিন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। সেসময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তারা ধরা পড়ে যান। অবশেষে কোচবিহার জেলা পুলিশের তৎপরতায় তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করে ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
তিন যুবকের নাম নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, মিনারুল শেখ ও মুস্তাফা কামাল। মিনারুল ও নাজিমুদ্দিন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। আর মুস্তাফার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে।
আমার বার্তা/জেএইচ