
ব্রাজিলের ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েনসার মারিয়া কাতিয়ানে গোমেস দা সিলভার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সাও পাওলোতে একটি বহুতল ভবনের ১০ তলার বারান্দা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ২৯ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি স্বামীকে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার পর মারিয়ার স্বামী আলেক্স লিয়েন্দ্রো বিস্পো দস সান্তোস এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন। জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতে ২৫ বছর বয়সী এই ইনফ্লুয়েনসারের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে গত ৯ ডিসেম্বর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত ২৯ নভেম্বর দম্পতির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে প্রতিবেশীরা চিৎকার ও ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান। এর কিছুক্ষণ পরই ভবনের বাইরে বিকট শব্দ হয় এবং মারিয়াকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জরুরি পরিষেবার সদস্যরা এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন সকালেই গ্যারেজে মারিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন সান্তোস। এছাড়া লিফটের ভেতরেও তাদের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হতে দেখা যায়, যেখানে সান্তোস মারিয়ার গলা চেপে ধরে তাকে জোর করে লিফট থেকে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই মারিয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে, সিসিটিভি ফুটেজের প্রমাণ সান্তোসের দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মারিয়া কাতিয়ান মূলত ইনস্টাগ্রামে একজন লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেখানে তিনি ভ্রমণ, সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় শেয়ার করতেন।
আমার বার্তা/এমই

