বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষকরা এখন যে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা পান, তা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষক নেতা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়মে মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাবেও তারা ‘খুশি নন’।
জানা যায়, বর্তমানে দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাসে বাড়িভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা পান। আর চিকিৎসাভাতা পান ৫০০ টাকা। এ বাড়িভাড়া আরও এক হাজার বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা এবং চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি, সরকারি চাকরিজীবীরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত থাকলে বাড়িভাড়া হিসাবে মূল বেতনের ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশ টাকা পেয়ে থাকেন। জেলা শহরে মূল বেতনের ওপর ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ৩৫ থেকে ৫৫ শতাংশ পান। একইভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরও বাড়িভাড়া ভাতা দিতে হবে।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৭টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী।
আমার বার্তা/এমই