মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
রোববার (১৮ মে) দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতা অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে বোনাস পেতেন। কর্মচারীরা পেতেন ৫০ শতাংশ হারে।
সম্প্রতি শিক্ষকদের বোনাস বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে আসন্ন ঈদুল আজহায় মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে বোনাস পাবেন শিক্ষকরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিলের গত ১৪ মে সই করা চিঠিতে এ সম্মতির কথা জানানো হয়। চিঠিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা উভয়েই মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে বোনাস পাবেন।
এর আগে বেলা ১১টায় শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেখানে অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে মিলিত হন তারা।
শিক্ষকদের দাবি, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো শতভাগ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়া চান তারা। এছাড়া বৈষম্য দূর করতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অতি দ্রুত শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে সবাই পেয়ে যাবেন। তবে আমরা শুধু শিক্ষকদের বোনাস বৃদ্ধি চাই না। আমরা শিক্ষক, কর্মচারী সবার শতভাগ বোনাস বৃদ্ধি চাই। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের মতো সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা চাই।
তিনি বলেন, মাসের অর্ধেক চলে যায় কিন্তু বেতনের কোনো খবর থাকে না। আমরা এমন ব্যবস্থা চাই না। সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতো মাসের শুরুতে বেতন চাই। আমরা সব ধরনের শিক্ষার অর্ধেকের বেশি দায়িত্ব পালন করেও কেনো বৈষম্যের শিকার হবো। তাই সকল বৈষম্য দূর করতে দ্রুত শিক্ষা জাতীয়করণ চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না আমরা।
শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৭ মে থেকে দ্বিতীয় দফায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আমার বার্তা/এল/এমই