২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা নির্ধারন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যা গত অর্থবছরের চাইতে এক হাজার ৬৬৫ কোটা টাকা বেশি।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস পরিসংখ্যান শাখার শাখা সহকারি মাসুম মিয়া রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারনের বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৭ হাজার ২১ কোটি ৫১ লাখ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টম হাউজ সূত্র বলছে, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার ওপর প্রতি অর্থবছরে নির্দিষ্ট পরিমাণে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এনবিআর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয় ১৪ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এসময় আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ৭ হাজার ২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এদিকে গত অর্থবছরের চাইতে এবার দেড় হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা নানান মত প্রকাশ করেছেন।
বেনাপোল বন্দর আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ৫ আগস্টের পর থেকেএকের পর এক নিষেধাজ্ঞা এসেছে বাণিজ্যে। এতে বর্তমানে সুতা, গুঁড়া দুধ, তামাক, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের কাগজ ও পেপার বোর্ড আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বাণিজ্যের পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চাইতে ৬০ শতাংশ কমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ জানান, কাস্টমসে পণ্য ছাড়করণ সহজ ও ব্যবসায়ীদের বৈধ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না হলে রাজস্ব আয় বাড়ার সুযোগ কম।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সিঅ্যান্ডএফ সদস্যদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে রাজস্ব আয় বাড়লে এখনও সুবিধা বঞ্চিত ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনো গড়ে উঠেনি। এতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই