ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ হলো আজ রোববার (১৫ জুন)। প্রথম কর্মদিবসে চলছে সব অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এখনও ঈদের আমেজই যেন চলছে ব্যাংকগুলোয়। শাখায় শাখায় চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মব্যস্ততা একটু কম।
ঈদের পরে সহকর্মীদের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ায় সবার সঙ্গে গল্পগুজবেই দিন পার করছেন অনেকেই। সিনিয়র-জুনিয়র মিলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে করছেন কোলাকুলি। কেমন কাটলো ঈদ, কোরবানি কেমন হলো, কোথাও বেড়াতে গেলেন কি না এমন আরও অজানা তথ্য জানছেন একে অন্যের।
মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া, পল্টন, ফকিরাপুল, গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পর অফিসের প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় অনেককেই কুশল বিনিময় করতে অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ছোটাছুটি করছেন। অনেকেই আবার ছুটি শেষে এখনো কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। দিনের শুরুতেই গ্রাহকের উপস্থিতিও কম। এর ফলে অধিকাংশ সার্ভিস কাউন্টার ফাঁকা দোখা যায়। তবে কোন গ্রাহক এলে কমকর্তাদের মতোই গ্রাহকোর সঙ্গেও করছেন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়।
দীর্ঘ ছুটি থাকার পর আজ খোলার কারণে হয়তো দুপুর থেকে গ্রাহক বাড়বে। এর ফাঁকে কর্মকর্তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করছেন। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। আজ সিনিয়র-জুনিয়র সবাই মিলে সবাই সবার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এটা আমাদের সৌহার্দ্য, আমরা এক অফিসে কাজ করি, সবাই সবার আনন্দ শেয়ার করি।
রুপালি ব্যাংক কর্মকর্তা জামানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির পর সবাই অফিসে এসেছেন। সেবার পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। গ্রাহক কম, যারা আসছেন তাদের সঙ্গেও কাজের ফাঁকে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন কর্মকর্তারা।
ব্যাংকে গ্রাহক সব সময় একটু বেশি থাকলেও আজ তুলনামূলক কম। কাউন্টারের গ্রাহকের উপস্থিতি পেলে কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করছেন। জানতে চাচ্ছেন কেমন কাটলো ঈদ, কোথায় (গ্রাম নাকি শহরে) কাটালেন এবারের ঈদ। কর্মকর্তাদের এমন আচরণে খুশি গ্রাহকরাও।
রুপালি ব্যাংকের গ্রাহক সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকে আসা। অন্যান্য দিনের মতো গ্রাহক নেই, কর্মকর্তাদের ব্যস্ততাও আগের দিনের তুলনায় কম। কাজের ফাঁকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, এটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ঈদের আগে এবংপরে সরকারি ছুটির মধ্যেও কিছু এলাকায় সীমিত পরিসরে তিন দিন ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা থাকে। মূলত ঈদের আগে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ এবং ঈদের পরে আমদানি-রপ্তানিমুখী শিল্পের সুবিধার্থে ব্যাংকের শাখা খোলা রাখা হয়।
ঈদের আগে ছুটির মধ্যে গত ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) সীমিত পরিসরে ব্যাংকের শাখা খোলা থাকে। আর ঈদের পরে ওষুধ শিল্প খাতসহ আমদানি ও রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ ও বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের লক্ষ্যে ১১ জুন ও ১২ জুন বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির দিন ব্যাংকের স্বীয় বিবেচনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই