করোনা পরিস্থিতি, এরপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট ডলার সংকট কমাতে গৃহীত পদক্ষেপ কাজে আসছে না। উল্টো ডলারের খোলাবাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) খোলাবাজারে ডলারের ঘোষিত কেনাবেচার দর ছিল যথাক্রমে ১১১ টাকা এবং ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু দোকানের আড়ালে প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। আর চড়া দামে বিদেশগামীরা খোলাবাজারে ডলার সংগ্রহে বাধ্য হচ্ছেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, মালিবাগ ও কাকরাইল ঘুরে দেখা গেছে, মানি চেঞ্জারের খুব একটা লেনদেন হচ্ছে না ডলার। মানি চেঞ্জারগুলোর আশপাশে ছদ্মবেশে একটা অসাধু চক্র ডলার ক্রেতাদের গোপন স্থানে নিয়ে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা দরে ডলার বিক্রি করছে।
মতিঝিল পাইনিওর এক্সচেঞ্জ হাউসে ডলারের দাম জানতে চাইলে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ডলারের রেট ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। সারা দিনে মাত্র ৩০০ ডলার কিনেছিলাম, সেগুলোই বিক্রি করেছি। এখন দোকানে আর ডলার নেই।’
মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা আরফিনা তনয়া বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট। হাতখরচের জন্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে পারিনি। মানি চেঞ্জার কর্মীরাও জানান ডলার নেই। পরে গোপনীয়তার সঙ্গে ১২০ টাকা দরে ৩০০ ডলার কিনেছি।’
গত সপ্তাহে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দরে ডলার লেনদেন করায় ৭টি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই অভিযোগে আরও ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
মানি চেঞ্জারর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সেখ হেলাল সিকদার বলেন, বাজারে লেনদেন নেই বললেই চলে। ডলার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এবি/ জেডআর