
কুড়িগ্রামে কয়েকদিনে শীত ও ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে দিন দিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতল বাতাসে বাড়ছে কাঁপুনি। দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও মিলছে না সেই কাঙ্ক্ষিত উষ্ণতা।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার আলামিন মিয়া (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৫), আব্দুল জলিলসহ (৬০) অনেকেই বলেন , শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুররা পড়েছেন বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের দিনমজুর আকবার হোসেন (৫৫) বলেন, শীতের কারণে সকালে কাজে যাইতে দেরি হয়। ঠান্ডায় হাত-পা চলতে চায় না, তবু কাজ না করে উপায় নাই। পেট তো চলা লাগবে।
তবে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও তেমন বাড়েনি। এরপরও বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন যে রোগীরা আসছেন তারা আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণের তালিকা তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুত জেলার শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু হবে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সবনিম্ন তাপমাত্রা ১০দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিন দিন তাপমাত্রা কমে আসবে।
আমার বার্তা/এল/এমই

