ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড় যানজট এখন নিত্যদিনের চিত্র।
আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকা কয়েক মাস ধরে নিয়মিত যানজট ও ভাঙ্গা সড়ক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সড়কটি পরিদর্শন করতে গতকাল বুধবার ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বেহাল দশা দেখতে এসে নিজেই যানজটের ‘বিপদে’ পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ব্র্যান্ডের দামি গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়েন তিনি। বেহাল সড়ক পরিদর্শন শেষে সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকা অফিসে না বসে সরাইল বিশ্বরোড অস্থায়ী কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা অফিসে না পাওয়া গেলে তাদের সাসপেন্ড (বহিষ্কার) করা হবে জানিয়েছেন।
কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড যানজট ও অস্থায়ী কার্যালয় তালাবদ্ধ এবং কর্মকর্তাদের কেউ উপস্থিত নেই।
আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুল আওয়াল মোল্লা এখন টিভিকে বলেন, ‘সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে তেমন যানজট নেই। আমাদের সাইড অফিসে রয়েছি। সবাই প্রকল্প এলাকায় কাজ করছেন।’
এদিকে, সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যানজট তৈরি হয়। সড়ক বিভাগের সংস্কার কাজের কারণে বিশ্বরোড মোড়ের দুই পাশে দেড় কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা দিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
আমার বার্তা/মো. রিমন খান/এমই