খুলনা নগরের অন্যতম প্রবেশদ্বার শিপইয়ার্ড সড়কের উন্নয়ন কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে লাল কার্ড প্রদর্শন ও সড়কে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিরাপদ সড়ক চাই খুলনা মহানগর শাখার দুপুরে রূপসা সেতুর নিচের খানাখন্দ অংশে এ প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়। এর আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন খুলনার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা।
তারা বলেন, প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের শিপইয়ার্ড সড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করে পুনর্নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন পায় কেডিএ। এক যুগ পার হলেও এই সড়কের কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফলে এই এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনজীবনে ভোগান্তি বাড়ছে।
পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় সম্প্রতি ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। ফলে সড়কটির কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরুর দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বাবুল হাওলাদার বলেন, ২০১৩ সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) শিপইয়ার্ড সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার জন্য ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে। তবে নানা জটিলতা শেষে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৪ সালের জুনে অতিক্রান্ত হয়েছে। কেডিএ দাবি করছে প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে ডিভাইডার, ড্রেন, ফুটপাথ, লবণচরা সেতু ও কালভার্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এখনো সম্পন্ন হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত ও ধীরগতির কারণে সড়ক কোথাও ইট খোয়া, কোথাও গর্ত, আবার কোথাও জলাবদ্ধ হয়ে কৃষিজমির মতো অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এতে শুধু জনদুর্ভোগ নয়, স্থানীয় শিল্প-বাণিজ্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না বলেন, সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটির কোথাও পিচঢালাই আছে, কোথাও নেই। খানাখন্দে ভরা সড়কে বৃষ্টির পানি-কাদায় একাকার। দিন দিন এসব খানাখন্দ বড় আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিনের অবহেলা ও দুর্ভোগের চিত্র সামনে আনতে আমরা সড়কে ধানের চারা রোপণ করেছি। যাতে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
আমার বার্তা/এল/এমই