ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি ভূমি অফিসের সীমানা ভেঙে জায়গা দখলের চেষ্টা এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এসিল্যান্ড কাজী তাহমিনা সারমিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পেছনে থাকা টিনের ঘেরা সীমানা ভেঙে প্রবেশ করে এনসিপির নেতাকর্মীরা। তারা সেখানে মিলাদ মাহফিল ও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ‘জুলাই মঞ্চ’ স্থাপনের চেষ্টা করছিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসিল্যান্ড কাজী তাহমিনা সারমিন। তিনি বাধা দিলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং এসিল্যান্ডকে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেন। জিডিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আকিব জাবেদ, আশুগঞ্জ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম ডালিম, যুগ্ম সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম দিপু, সুমন মৃধাসহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এসিল্যান্ড কাজী তাহমিনা সারমিন বলেন, সরকারি অফিসের নিরাপত্তা ও গোপন নথি রক্ষার স্বার্থে সেখানে কোনো কর্মসূচি অনুমোদনযোগ্য নয়। কিন্তু এনসিপি নেতারা মৌখিকভাবে জানিয়ে অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক স্থান দখলের চেষ্টা করে। এ সময় তারা ‘পারলে ঠেকান’ বলে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণও করেন।
এনসিপির আশুগঞ্জ শাখার প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম ডালিম দাবি করেন, তারা ওই জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করতে গিয়েছিলেন এবং পূর্বে মৌখিকভাবে প্রশাসনকে অবহিতও করেছিলেন। তবে এসিল্যান্ডের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে জানান তিনি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বরেন, সরকারি অফিসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। অফিস প্রাঙ্গণে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এনসিপির নেতারা সরকারি জায়গা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেছে এবং এসিল্যান্ডকে হুমকি দিয়েছে, তাই প্রশাসন যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ