রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী ঢাকা শহরের প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর জলাভূমি ও জলাধার রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় ড্যাপ প্রস্তাবিত জলাধার রক্ষার্থে নির্ধারিত দাগভুক্ত জমিতে জমি ক্রয়-বিক্রয় কিংবা ভূমির ধরন পরিবর্তন না করা সংক্রান্ত সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেন, ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে পার্ক, জলাধার দখল করে আবাসন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বিভিন্ন অনিয়ম করা হয়েছে।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এই জলাধারগুলোতে আমরা যদি এখনই সাইনবোর্ড দিই তাহলে যারা এখানে প্লট কিনতে আসবেন তারা দেখবেন যে সরকারিভাবে এটাকে জলাধার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও জলাধার ভরাট করে গড়ে তোলা প্লট আর কিনবেন না।’
তিনি আরও বলেন, গত তিন দশকে আবাসন খাতে একটি অনৈতিক ও কালো অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি হয়েছে। ভূমিকে পণ্য করে তোলা হয়েছে। একটি প্রয়োজনীয় সম্পদকে এমনভাবে বাজারজাত করা হয়েছে, যেন তা শুধু অবৈধ উপার্জনকারীদের নাগালের মধ্যে থাকে। যারা সৎভাবে রাজধানীতে বসবাস করেন, তাদের পক্ষে একটি ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এদিন সাতারকুল মৌজায় ১৮৭টি, বাড্ডা মৌজায় ১৭২টি এবং সুতিভোলা মৌজায় ১৮টি—মোট ৩৭৭টি দাগে ১৮৫ একর জলাভূমিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সংবলিত বিজ্ঞপ্তি বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই