
চার দফায় ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প হওয়ায় বেশকিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী হল ছাড়ছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, গত দুই দিনে চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। বেডে ঘুমাতে গেলেও মনে হতো যে এই বোধহয় ভূমিকম্প হচ্ছে।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পে হলে ফাটল ধরেছে, প্লাস্টার খুলে পড়েছে। বিল্ডিংগুলো যে মানসম্মত না এটা তো আমরা সবাই জানি। ভূমিকম্পে কখন কি হয় এই নিয়েও আমরা আতঙ্কে ছিলাম। যেহেতু একটা ওয়েভ চলছে তাই এই কয়েকদিন গ্রামের বাসায় যাওয়াটাই সেফ মনে করছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলো রিপেয়ার করারও একটা সুযোগ পাবে।
ভূমিকম্প সতর্কতায় আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার মধ্যে হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘোষণার পর সোমবার সকাল থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাগ নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৪ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় তারা নিজ নিজ জেলা ও বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে এরইমধ্যে টিকিট কনফার্ম করে সকালে হল ছেড়েছেন, আর যারা দূরপাল্লার পথে যাবেন তারা বিকেলের মধ্যেই রওয়ানা হবেন বলে জানা গেছে।
ঘুমাতে গেলেই মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে
বিজয়-২৪ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো জাহিদুর রহমান বলেন, আমার জানামতে অনেকে বাসায় চলে গেছে, যারা যায়নি তাদেরকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যার মধ্যেই হল ছেড়ে দিতে হবে।
তবে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলছেন, হুট করে হল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান না। অন্তত দুই একদিন সময় দেওয়া যেত। যারা টিউশনি করে বা যেসব শিক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিন্তা করা উচিত।
আমার বার্তা/এল/এমই

