নিয়মের তোয়াক্কা না করে মধ্যরাতে ‘প্রচারণায়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে অবস্থান করছেন ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। রাত ১ টা ১৩ মিনিটে ধারণ করা এক ছবিতে দেখা যায়, তিনি হলের অপরাজিতা ভবনের নিচে করিডোরে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিশ্ববিদ্যায়ের বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি নারী হলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাইরে কেউ প্রবেশ করতে পারেন না। রাত ১০টার পর আবাসিক শিক্ষার্থীরাও প্রবেশ করতে পারেন না। এমনকি এক হলের আবাসিক শিক্ষার্থীও অন্য হলে প্রবেশের অনুমতি নেই।
তবে উমামা ফাতেমা কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী হয়েও রাত ১টা ১৩ মিনিট নাগাদ রোকেয়া হলে অবস্থান করছেন। হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, করিডোর থেকে তিনি অপরাজিতা ভবনে গিয়েছেন। তিনি এখনো এই হলেই অবস্থান করছেন।
রাতে রোকেয়া হলে অবস্থানের একটি ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হলের এক নারী শিক্ষার্থী এটি পোস্ট করে জবাবদিহিতা চেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গ্রুপেও ছড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে উমামা ফাতেমাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল কেটে দেন এবং মেসেজ করতে বলেন। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মেসেজগুলো দেখেও কোনো জবাব দেননি।
এদিকে এই ঘটনাকে স্পষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান নিয়ম ভঙ্গ বলে অভিযোগ করছেন একাধিক শিক্ষার্থী। আগামী ২৬ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবাসিক হলে প্রচারণার সময় বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগেই উমামার হলে প্রবেশকে আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এদিকে এ ঘটনার সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ডাকসুতে আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পরপ্রার্থী আনিকা তাহসিনা লিখেন, রাত ১ টা ১৩ মিনিটে উমামা আপু কোন ক্ষমতাবলে আমাদের হলে আসে? আমরা রাত সাড়ে ১০টার পর হলে প্রবেশ করতে হাজার হেনস্তার শিকার হই, অনাবাসিক মেয়েরা একবেলা খাওয়ার জন্য হলে প্রবেশ করতে পারে না। উমামা আপু তাহলে কোন ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন এর জবাব আচরণভঙ্গকারী ভিপি প্রার্থী উমামা আপু আর হল প্রভোস্টকে দিতে হবে।
আরেক শিক্ষার্থী হামযা মাহবুব বলেন, ডাকসুর অন্যান্য নারী প্রার্থীরা ছেলেদের হল তো দূরের কথা। নিয়মিত সময়ে অর্থাৎ রাত ১০টা পর্যন্তও অন্যান্য ছাত্রী হলে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা রাত ১টা ১৩ মিনিটে রোকেয়া হলে কীভাবে অবস্থান করছেন? ডাকসুর কোন বিশেষ বিধিতে তাকে এ সুযোগ প্রদান করা হয়েছে?
আমার বার্তা/এল/এমই