একটি পরীক্ষা শেষ করে বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে সবেমাত্র ক্লাসরুম থেকে বেরিয়েছিলেন ফারহান হাসান। ঠিক তখনই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান তার স্কুল ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘আমার চোখের সামনেই জ্বলন্ত বিমানটি ভবনে এসে আঘাত করে।’
স্কুলের ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি একটি দোতলা ভবনে আঘাত করার পর সেখানে বিশাল আগুন লাগে এবং ঘন ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
এ দুর্ঘটনায় ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পরে প্রশিক্ষণ মহড়ার জন্য উড্ডয়নের পর এফ-৭ জেটটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। নিহতদের মধ্যে পাইলট, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও রয়েছেন।
নিজের চাচা এবং বাবার সাথে থাকা শিক্ষার্থী ফারহান বিবিসিকে বলেন, আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, যার সাথে আমি পরীক্ষার হলে ছিলাম, সে আমার চোখের সামনেই মারা গেছে।
ফারহান আরও বলেন, আমার চোখের সামনে... বিমানটি তার মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল। আর অনেক অভিভাবক ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কারণ স্কুল ছুটি হওয়ায় ছোট বাচ্চারা বাইরে বেরিয়ে আসছিল... বিমানটি অভিভাবকদেরও নিয়ে গেল।
কলেজের একজন শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বিবিসিকে জানান, তিনি বিমানটিকে ‘সরাসরি’ ভবনে আঘাত করতে দেখেছেন।
মাসুদ তারিক নামে আরেক শিক্ষক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। যখন পেছনে ফিরে তাকালাম, তখন কেবল আগুন এবং ধোঁয়া দেখতে পেলাম... এখানে অনেক অভিভাবক এবং শিশু ছিল।’
সূত্র: বিবিসি
আমার বার্তা/এল/এমই