শীতকালীন ছুটির আগেই সর্বশেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা গ্রহণ ও ১৪ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ সহ ৫ দাবিতে প্রধান ফটকে আটকে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা দেন।
এতে দুপুরের শিফটের ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবাহী পরিবহনগুলো আটকে পড়ে। প্রায় আধাঘন্টা পর বিভাগীয় শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। একইসঙ্গে দাবি আদায় না হলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংহতি প্রকাশ করেছেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় বিভাগের অফিস কক্ষে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এদিকে আন্দোলন চলাকালে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগটির স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা গত ৩১ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। পরে তারা জানতে পারে তাদের ৭ জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে নন ক্রেডিট কোর্সে উত্তীর্ণ হয়নি। কিন্তু অনুত্তীর্ণদের তালিকা আগে প্রকাশিত হয়নি। যার ফলে পরীক্ষা আটকে আছে। বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে উপাচার্যের বিশেষ অনুমতি ছাড়া এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যা নিয়ে দু’মাস ধরে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পায়নি তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সাথে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা করছে। সর্বশেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা আটকে থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদন করা হতে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া অতি শিগগিরই বিসিএস এর সার্কুলার প্রকাশিত হবে। পরীক্ষা না হলে আমরা তো আবেদন করতেই পারবো না। আমরা চাই বিভাগ ও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন সমন্বয় করে অতিদ্রুত সমাধানে আসুক। আসন্ন শীতকালীন ছুটির আগেই আমাদের সকল পরীক্ষা নেওয়া হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, গেট আটকিয়ে রাখার কথা শুনে আমি সেখানে গিয়ে তাদের গেট ছেড়ে দিতে বলি। এটা একাডেমিক বিষয় তাই একাডেমিক্যালি ও প্রশাসনের সাথে তারা আলোচনা করুক। আমি তাদের বিভাগের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম। এর আগে আমরা একাডেমিক সভা করে ভিসি স্যারের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিলাম। তিনি সেটার অনুমোদন দেননি এখনো। যার ফলে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবাই বসেছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলেছেন এবং উইথড্র করতে বলেছেন। আমি বিষয়টি আবার ভেবে দেখবো।
আমার বার্তা/জেএইচ/আজাহারুল ইসলাম