এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক মোরশেদুল আমিন শাহিনের বই ‘বিমূর্ত সময়’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মিনতি রায়। বইটি প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স।
বইটি নিয়ে মোরশেদুল আমিন শাহিন বলেন, প্রমিথিউসের মত প্রতিদিন ভাঙতে ভাঙতে নতুন করে শুরু। চূড়ান্তভাবে ভেঙ্গে চুরে যাবার পরেও জীবন আবার উঠে দাঁড়ায়। দীর্ঘ খরা তাপদাহেও সজনে লতা নুয়ে পড়ে না। অতল বেদনা ও ভয়ানক বীভৎসতার অভিজ্ঞতা থেকেও আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি। অসংখ্য প্রতিকূলতা আর বিপর্যয়ের পাশে সতর্কতার দেয়াল তুলে ভালোবাসার অকুণ্ঠ প্রেরণা নিয়ে আবার উঠে দাঁড়াই।
তিনি আরো বলেন, জীবনের মানে নতুন করে গড়তে শিখি। প্রজাপতির মত সব অন্ধকার গিলে খেয়ে নতুন রঙের আবির ছড়িয়ে আলোকিত করি। অন্ধকারকে ঢেকে দিয়ে নতুন আলোয় প্রভাত নিয়ে আসি। এমনসব যাতনার কিছু পঙক্তি জীবন থেকে তুলে এনে জমিয়েছিলাম। যাপিত জীবনের অন্তক্ষরণ, মোহ, মুগ্ধতা, বিস্ময়, বিদ্রোহ নিয়েই এই কাব্যগ্রন্থ।
গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের দেশ পাবলিকেশন্স এর ৪১৭-৪১৯ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ‘বিমূর্ত সময়’ বইটি। এর দাম রাখা হচ্ছে ৫০০ টাকা।
তেরশ চুয়াত্তর সনে একুশে ফাল্গুনে, পবিত্র মঙ্গলবারে ল্ভিনু শাহিনে, প্রথম অতিথী রত্ন সপিল খোদায়, দীর্ঘজীবী সর্বগুনী গর্ভে যেন তায় এই লাইন কয়টা মোরশেদুল আমিন শাহিন জন্মের সংবাদ উপহার পেয়েছিলো পরিবার থেকে। আমার জন্ম ১৯৬৮ সনের ৪ মার্চ। বরিশালের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। স্কুল জীবন থেকে লেখালেখি শুরু। বিবিসি, ভয়েস অফ অ্যামেরিকা, ডয়চে ভেলে, আরো সব বিদেশী রেডিও ক্লাবে চিঠি লেখাই তার প্রথম লেখালেখি। বরিশাল শহরে এসে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দৈনিক দক্ষিণাঞ্চলে নিয়মিত কাজের সময় লেখালেখি শুরু করলেও সেই সব লেখা একদম হারিয়ে ফেলেন তিনি। অনলাইন ব্লগ আর ফেইসবুকের জন্যে নতুন করে কিছু লেখা শুরু করি ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে। সেখান থেকে কিছু কবিতা প্রকাশের জন্য এই কাব্যগ্রন্থে প্রকাশ করা হয়েছে।
লেখক মোরশেদুল আমিন শাহিন ‘বিমূর্ত সময়’ বইটি তার মা ও একমাত্র মেয়েকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, আমার সংশয়-দ্বিধার অন্ধকারে আলোকবর্তিকা জ্বলে যার ডাক শুনে। একটু একটু করে সে বড়ো হতে হতে দুঃখ পাওয়া শিখেছে! আমি বুঝতে পারি তার দুঃখ পাওয়া মুখ দেখে। আরও বড় হতে হতে বড় দুঃখ দেখার সময় হয়তো আমি অন্য যাত্রায় থাকবো। মেয়ে ঐশী এবং মলিন লাবণ্য স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার মমতায় ব্রহ্মকমল ফুটিয়েছেন যিনি আমার জীবনে বড় বড় দুঃখগুলোকে জয় করে এখন সে বার্ধক্যে আমার আম্মা। দুই মাকে উৎর্সগ করলাম।
এবি/ জিয়া