ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি?

ফখরুল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মঈন খান মহাসচিব
রতন বালো
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৭
আপডেট  : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৮

  • বিএনপিতে এত বড় পরিবর্তন কোনো সম্মেলন ছাড়া করা উচিত হবে না- দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে
  • তবে কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি

দেশের রাজনীতিতে বিএনপির প্রভাব নিয়ে চলমান তর্ক-বিতর্ক জিয়া পরিবার নিয়েই আবর্তিত। বিশেষ করে মা-বেটার মতানৈক্য বর্তমান সময়ে বিএনপির রাজনীতিকে অনেকটাই অনিশ্চিত করে তুলেছে। বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের অসহিষ্ণুতা। দলের ভিতরে রয়েছে ক্ষোভ। এ কারণে কোনো কর্মসূচি সঠিক পরিণতি পাচ্ছে না। এমন টানাপোড়েনের ভিতর দিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল।

খবর বলছে, অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই বলছিলেন যে, জিয়া পরিবারের নামেই বিএনপি চলে, জিয়া পরিবার ছাড়া বিএনপি কয়েক টুকরো ভেঙে যাবে।

তবে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সাম্প্রতিক সময়ে দলের নির্বাহী নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত রেখেছেন। যেহেতু তিনি লন্ডনে থাকছেন, দলের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিতে পারছেন না। সেজন্য তিনি দলের উপদেষ্টা হিসেবে থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করার পরেই বিএনপিতে নেতৃত্ব বদলের নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। সেখান থেকে বলা হচ্ছে নতুন কলবরে আসছে বিএনপি আর নতুন নেতৃত্ব বিএনপিকে আরও আন্দোলনমুখী করতে দাবার ছক সাজাচ্ছে।

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে, বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে বিএনপিতে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছিল। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ এবং তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক সেজন্য এমন একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার দাবি উঠেছিলো যিনি দলের ভেতর আছেন এবং দলের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে সময় দেন। এরকম বাস্তবতা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম সামনে এসেছিলো। কিন্তু বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে প্রচণ্ড বিরোধিতাও ছিলো। ফলে এই অনুমান বাস্তবের আলোয় আসেনি। কিন্তু এখনও সে পরিস্থিতি অনেকটাই সরে গেছে। তাই বিএনপিকে নতুন নেতৃত্ব বিষয়টি বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। তবে বিএনপিতে এ নিয়ে একটা প্রবল বিরুদ্ধ মতও রয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার বাইরে বিএনপিতে যদি কেউ নেতৃত্ব নেন তাহলে বিএনপির মধ্যে অনৈক্য দেখা দিতে পারে। এখন যেমন বেগম জিয়া বা তারেক জিয়াকে সকলে মানেন তখন হয়তো এরকম পরিস্থিতি নাও হতে পারে। এসমস্ত বাস্তবতাগুলো বিবেচনা করেই বিএনপির সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

দলের বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও যেহেতু দলের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে শারীরিক এবং আইনগতভাবে অপারগ সেখানে এই নেতৃত্ব অনেকটাই প্রত্যাশিত হয়ে উঠেছে। তবে তিনি দলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকবেন এমনটিই বলা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়াও বিএনপির এই কাঠামো পরিবর্তনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। যদিও দলটি তারেক জিয়ার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল।

গত বুধবার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা তাকে বিএনপির এই নতুন মেরুকরণের প্রস্তাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। সে সময় বেগম জিয়ার উত্তর ছিলো ইতিবাচক। তিনি এখন মোটেই রাজনীতিতে আগ্রহী নন এবং দলের স্বার্থে যেটি নেতারা ভালো মনে করেন সেটিই করার ব্যাপারেই তিনি সায় দেন। ফলে বিএনপিতে এখন পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কোনো বাধা নেই। তবে এ পরিবর্তন প্রক্রিয়া বিএনপি কিভাবে করবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, এ পরিবর্তন দুভাবে হতে পারে। প্রথমত, তাৎক্ষণিকভাবে এ পরিবর্তন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মঈন খান হতে পারেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তবে বিএনপির অধিকাংশ নেতাই মনে করেন, বিএনপিতে এত বড় পরিবর্তন কোনো সম্মেলন ছাড়া করা উচিত হবে না। তারা মনে করছেন যে, শিগগিরই বিএনপির সম্মেলন ডাকা উচিত এবং এ সম্মেলনে সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপিতে নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

আমার বার্তা/জেএইচ

বিএসএমএমইউতে কমছে তেলবাজির দৌরাত্ম্য

    ভিসি দীন মো. নুরুল হকের এক মাস     দায়িত্ব নিয়েই শৃঙ্খলা ফেরালেন ভিসি     ছবি প্রদর্শনী

কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে নষ্ট রাজনীতি

কিশোর গ্যাংয়ে এখন শুধু কিশোররাই নয়, জাড়িয়ে পড়ছে কিশোরীরাও। এ এক ক্ষমতার নেশা, পাড়া-মহল্লায় দাপিয়ে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সফল প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

২০১৪ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদ (১০ বছর) অত্যন্ত সফলতার সাথে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ

১০০ দিনে ৫০০ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা মন্ত্রীর

নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তাবায়নের পাশাপাশি দেশের ‘পরিবেশ রক্ষা’র বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিলো নতুন সরকারে। পরিবেশ দূষণ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই

বিশ্বকাপের চিন্তা ছাপিয়ে আগে সিরিজ জিততে চান শান্ত

সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থায় যার জমি তারই থাকবে

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক প্রায় পাঁচ হাজার

কোকাকোলার বোতল সরিয়ে দিলেন সিকান্দার রাজা

গরমে পুদিনা ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা

১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা

ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল ঘোষণা পাকিস্তানের

বিএনপির নয় আ.লীগের নেতা-স্বজনরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে: রিজভী

নামাজে ঘুম চলে এলে করণীয়

মুক্ত গণমাধ্যম কোনো বিকল্প নয়, বরং প্রয়োজন : গুতেরেস

আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ

উপজেলা নির্বাচনে ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী স্বজন: প্রধানমন্ত্রী

খিলগাঁও থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

‘সমুদ্র সৈকতে বিনিয়োগ করতে চাইলে থাইল্যান্ডকে জায়গা দেবো’

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ঢাকায়

সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন মিল্টন

চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল

নব বিবাহিতরা যে ৩ বিষয় মেনে চলবেন

ওমরা পালনে সস্ত্রীক সৌদি যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল