ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর সফলভাবে পথচলা

কমল চৌধুরী:
প্রিন্ট ভার্সন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৭
ডা: সামন্ত লাল সেন : ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন ডা: সামন্ত লাল সেনের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হিসেবে সুদক্ষ,বলিষ্ঠ এবং সফলতার সাথে পথচলা অব্যাহত রয়েছে।

ডাঃ সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার পথিকৃৎ ও একজন পুরোধা ব্যক্তি। তার জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার (তৎকালীন সিলেট জেলা) নাগুরা গ্রামে। পিতা জিতেন্দ্র লাল সেন ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং ভারতের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য গোল্ড মেডেল অধিকারী।

সামন্ত লাল সেন সেন্ট ফিলিপস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক এবং পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে জার্মানি ও ইংল্যান্ড থেকেও সার্জারি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন ডা. সেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ সুবাদে ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়িতে অবাধ যাতায়াতের মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য লাভ করেন এবং তাঁর রাষ্ট্রদর্শন, সমাজচিন্তা ও স্বাস্থ্যভাবনার সঙ্গে পরিচিত হন। এভাবেই তিনি জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।

ডাঃ সেন তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৫ সালে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা হবিগঞ্জের বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে। পাঁচ বছর পর তিনি বদলি হয়ে ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। সেখানে তিনি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানা থেকে আগত ডাঃ পারজেভ বেজলীল ও অধ্যাপক আর.জে. গার্স্টের সান্নিধ্যে আসেন এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মাত্র পাঁচটি বেড নিয়ে শুরু হয় পোড়া রোগী ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ১৯৮৬ সালে অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে শুরু করেন আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসাসেবা। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে এ হাসপাতালে একটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বতন্ত্র বার্ন ইউনিট যাত্রা শুরু করে, যা পরে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ডাঃ সামন্ত লাল সেন ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাকালীন প্রকল্প পরিচালক। এই বার্ন ইউনিট ২০১০ সালের নিমতলী ট্রাজেডি ও ২০১৪ সালের নির্বাচন-পূর্ববর্তী বিএনপি-জামাতের রাজনৈতিক আগুন-সন্ত্রাসে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ধীরে ধীরে সারা দেশের পোড়া রোগীদের জন্যে আস্থা, ভরসা ও আশার অবিসংবাদিত নাম হয়ে ওঠেন ডাঃ সামন্ত লাল সেন। এরই ফলশ্রুতিতে সরকারি চাকুরি থেকে অবসরে গেলেও তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কের বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্যে ১০০ শয্যার বার্ন ইউনিটকে ৫০০ শয্যার একটি স্বতন্ত্র ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের দায়িত্ব নেন ডাঃ সেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৪ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পোড়া রোগীদের জন্যে এটিই বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবার আওয়ামী লীগ সরকারের গঠন করা মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় তিনি মন্ত্রী হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এই দায়িত্বপ্রাপ্তির আগের দিন পর্যন্ত তিনি সারা বাংলাদেশের সকল বার্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ডা. সেনের কর্মময় জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা এবং এই সেবার প্রসারে। তিনি চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার নেতৃত্বে ভুটানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প-২০২৩’, যেখানে ঠোঁট কাটা ও তালু কাটা রোগীসহ প্লাস্টিক সার্জারির বিভিন্ন জটিল রোগীদের সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে ভুটানের একজন নাগরিক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্লাস্টিক সার্জারি তথা দেশের চিকিৎসাসেবার জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক।

ব্যক্তি জীবনে সদালাপী, নির্মোহ ও সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ডাঃ সামন্ত লাল সেনের কর্মমুখর জীবনে তার পাশে রয়েছেন স্ত্রী মিসেস রত্না সেন। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছেন, যারা প্রত্যেকেই ব্যক্তি জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত।

দেশে প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার জন্য একজন ‘জীবন্ত কিংবদন্তী’, অসংখ্য সাধারণ মানুষের জন্য ‘সেন স্যার’ হিসেবে ডাঃ সামন্ত লাল সেন এখনো নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপে ভূষিত হন।

আমার বার্তা/এমই

বাংলাদেশ ও বিশ্বের আলোচিত ঘটনা প্রবাহ ২০২৪

২০২৪ সাল বিশ্বব্যাপী নির্বাচনী বছর হিসেবে অভিহিত। বিশ্বের প্রায় ৩৭০ কোটি মানুষ ভোট দান করে

“ড্রাইভিং লাইসেন্সিং সিস্টেম” যেন ফেল-পাশের এক গ্যাঁড়াকল

এখনো কারসাজির বেড়াজালের পরীক্ষায় পাশে ঘুষ নির্ভরতা যেন অমোচনীয় সার্কেলগুলোর ওই রক্তচোষা ‘গ্যাঁড়াকল’এ হাতানো কোটি কোটি

সাড়ে ৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দিচ্ছেন না সহকারী সচিব একরাম হক

# ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় # সরকারী কর্মকতা পরিচয় দিয়েছেন ফ্লেক্সি লোড ব্যাবসায়ীর # ঋণ দিয়েছে  ইস্টার্ন 

হিসাব রক্ষক শেখ নাসির দুর্নীতি করে গড়েছেন অডেল সম্পদের পাহাড়

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দুর্নীতির ও অনিয়মে ভরপুর। পতিত সরকারের দোসররা এখনো আছেন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু

রাজধানীতে গলায় ফাঁস দিয়ে সোনালী ব্যাংকের এজিএমের আত্মহত্যা

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িচাপায় ভ্যানের ২ যাত্রী নিহত

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনকাঠামো তৈরি করেছি: ধর্ম উপদেষ্টা

দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওএসডি

নতুন বছরে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

নাশকতা নয় বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশন থেকে সচিবালয়ে আগুন

সমস্যা-অনিয়ম উত্তরণে কাজ করছি, প্রয়োজন সবার সহযোগিতা

আপনাদের আম্মু ফিরে আসবে না, রিয়েলিটি মাইনে নেন: হাসনাত

বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের প্রয়োজন নেই: নুরুল হক নুর

বিএনপি নেতা আবু নাছের আর নেই

রিজার্ভ চুরির অর্থ দেশে ফেরাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা কামনা

নতুন বছরের প্রথম দিন বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৮০৯ কোটিতে

চিন্ময়সহ ইসকনের ২০২ অ্যাকাউন্টে জমা ২৩৬ কোটি টাকা

প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

মার্চ ফর ইউনিটিতে গণহত্যার বিচার চাইলেন সারজিস আলম

১৫ জানুয়ারির মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করতে হবে

ঢামেকের টয়লেটে পড়েছিল মস্তকবিহীন নবজাতকের মরদেহ

পাঁচ মাসেও বিচার না পাওয়ায় আক্ষেপ আলভির বাবার