মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কার্নিভাল এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) কুয়ালালামপুরের দেওয়ান বাহাসা দান পুসতাকায় এ কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, মালয়েশিয়ার পক্ষে তামিল ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া, এলএলজি কালচারাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, আইকেআরএএম, জেওএএস, দং জং-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কার্নিভালে কৌশলগত অংশীদার ছিল কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
কার্নিভালে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া একটি সুসজ্জিত স্টল তৈরি করে। যেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর লিখিত বই প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ভাষা আন্দোলনের ওপর ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্নিভালে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশাদ আলম খাস্তগীর। এছাড়া বক্তব্য রাখেন তামিল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট এলানজেনিয়াল ভেনুগোপাল, জিবিএম-এর চেয়ারম্যান স্টানলি ইয়ং এবং এমএলডি/এইচবিআইএ-এর অর্গানাজিং চেয়ারম্যান কুগেনেস্বরান তামিলমানি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ডেপুটি হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
অন্যান্য বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ভাষাভাষির ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন।
কার্নিভালে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্কুলের ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এ আয়োজনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আমার বার্তা/এমই