ই-পেপার শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩২

মালয়েশিয়ায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক:
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২২
খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় : ছবি সংগৃহীত

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় পলাতক অবস্থায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন।

গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুডু থানা–পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এরপর সোমবার দুপুরে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী জয় এত দিন তারেক রানা নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।

জয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনার শামীম আহসান কোনো কথা বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে ঢাকায় পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, তানভীর ইসলাম জয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি সঠিক। তবে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে সেখানে অবস্থান করায় দূতাবাসের কিছু করার ছিল না। একই কারণে তারা কোনো খোঁজখবর নেয়নি।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরে অবস্থিত ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয় ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ইন্টারপোল ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ইন্টারপোলের কুয়ালালামপুর এনসিবির কাছে ই–মেইল পাঠানো হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত তারা কিছুই জানাতে পারেনি।

কুয়ালালামপুরের স্থানীয় সূত্র বলেছে, সন্ত্রাসী জয় অনেক দিন ধরে কুয়ালালামপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে একা বসবাস করছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো। ওই অ্যাপার্টমেন্টে একজন গৃহকর্মী দুদিন পরপর এসে রান্না ও ঘর পরিষ্কার করে চলে যেত। গত ১২ এপ্রিল সকালে ওই গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলবেল বাজানোর পরও কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের লাশ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া বা ইউকেএম হাসপাতালে পাঠায়। সেই হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূর লাশের ময়নাতদন্ত করেন।

রোববার ইউকেএম হাসপাতালের অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সহকর্মীর ফোন নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। সোমবার সকালে সেই সহকর্মীকে ফোন দেওয়া হলে সেখানেই ভাইয়ের লাশের অপেক্ষায় বসে ছিলেন জয়ের এক বোন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি লাশ নিতেই মালয়েশিয়ায় এসেছেন। অধ্যাপকের সহকর্মী তাকে কথা বলতে অনুরোধ করলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের লাশের জন্য লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস তাকে লাশ গ্রহণের এনওসি দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে সোমবার তিনি লাশ গ্রহণ করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাফন করেন।

নব্বই দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত–হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য একটি পরিবারের এই সন্তান সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে মিলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেনস্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকাণ্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম এবং চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল।

২০০০ সালে জয়কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। আবার ভারতে ফিরে আসেন। ভারতে থাকার সময় তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ।

২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় তার নাম আসে। ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গোলাগুলির ঘটনায়ও জয়ের জড়িত থাকার কথা ওঠে।

২০০৭ সালে ভারতে অবস্থানের সময় সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে চলে যান কানাডায়। এরপর টরন্টোতে ‘এসজে ৭১’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সেখানে রানা অ্যাজাক্স নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ২০১৫ সালে কানাডা পুলিশ তার ব্যাপারে তথ্য পেয়ে তদন্ত শুরু করে।

২০১৯ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে তিনি সে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। জয় দুই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী আপন মামি। সেই ঘরে একটি সন্তান আছে। তার বিদেশি দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরেও একটি সন্তান রয়েছে।

আমার বার্তা/এমই

ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া প্রবেশকালে আরও ৫১ বাংলাদেশি আটক

ভুয়া হোটেল বুকিং ও কাগজপত্র নিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া প্রবেশের সময় আরও ৫১ বাংলাদেশি নাগরিককে

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. কামরুল ইসলাম (৩৩) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার

মালয়েশিয়ায় ১১ বাংলাদেশিসহ ৭৫ অভিবাসী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে ১১ বাংলাদেশিসহ ৭৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। বুধবার ইমিগ্রেশন

জর্ডানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়ার বাহরাইনে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কোরের ডিন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিঙ্গাইরে বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা

বিশ্ব মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনকে রক্ষা করতে হবে: ড. মোবারক হোসাইন

সমস্যা সমাধানে অলীক চিন্তা না করে বাস্তববাদী হতে হবে: ফখরুল

বাংলাদেশে আর ফ্যাসিস্টদের আস্তানা করতে দেব না: অ্যাটর্নি জেনারেল

স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না

আ.লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ

রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজে বিএনপির ইফতার মাহফিল

মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘গণহত্যাকারী আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ

সেনাপ্রধান বুকে পাথরচাপা দিয়ে ড. ইউনূসকে মেনে নিয়েছিলেন: আসিফ

২০২৪ সালে বিভিন্ন রুটে ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থ ইষ্ট এর ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া প্রবেশকালে আরও ৫১ বাংলাদেশি আটক

হজ ও ওমরা টিকিটের ক্ষেত্রে আর কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক অলিম্পিকের প্রথম নারী সভাপতি কে এই কভেন্ট্রি?

গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আ.লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক

লালবাগের বাসায় পড়েছিল গৃহবধুর মরদেহ, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

ছুটির দিনে রাজধানীতে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা