ই-পেপার সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনায় আরপিও সংশোধন

মেহদী আজাদ মাসুম
প্রিন্ট ভার্সন
২২ মে ২০২৩, ১৩:০৪
ফাইল ফটো

অনিয়ম হলে এক বা একাধিক কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার বিধান রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (আরপিও) সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। তবে অনুমোদিত এই খসড়ায় পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল বা স্থগিত করা যাবে কি-না তা উল্লেখ নেই। স্বাভাবিক কারণেই এ নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। তবে দুদিন পরে হলেও একজন নির্বাচন কমিশনার মুখ খুলেছেন। আরপিও সংশোধনে ইসি’র ক্ষমতা খর্ব হয়নি বলে তিনি দাবি করেছেন।

গত ২৮ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরপিও সংশোধনের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিলো, খসড়ায় আরও কিছু সংশোধন, মতামতসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এ বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিও সংশোধন করা হচ্ছে।

এর পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরপিওর সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত আইনের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, পেশিশক্তি বন্ধ করার জন্য বা যেকোনো কারণে নির্বাচন চলাকালে যেকোনো মুহূর্তে এক বা একাধিক কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করা যাবে।

‘অনিয়ম হলে গাইবান্ধার মত একটি আসনের নির্বাচন বাতিল করা যাবে কি-না’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচন চলাকালে বা তাদের যদি মনে হয় কোনো কেন্দ্রের নির্বাচনে সমস্যা হচ্ছে, তখন তারা ওই কেন্দ্রের, সেটি এক বা একাধিক হলে তা বাতিল বা স্থগিত করতে পারবে। কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে এক বা একাধিক। এখানে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ব্যাপারে বলা হয়নি।’

‘অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে’ অনুমোদিত আরপিওর খসড়ায় এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ না থাকায়, আলোচনায় আসে ইসির ক্ষমতা খর্বের বিষয়টি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আমার বার্তাকে বলেন, ‘অনুমোদিত আরপিও’র খসড়ায় কি আছে তা না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে আমিও গণমাধ্যমে আরপিও সংশোধনের সংবাদ দেখেছি। সংশোধনে উল্লেখ নেই ‘পুরো আসনে অনিয়ম হলে কি করবে ইসি’! এটা আরপিওতে থাকতে হবে। অর্থাৎ অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারাবে’ এটা আরপিওতে থাকতে হবে।’

তবে ‘আরপিও’র খসড়া’ অনুমোদনের দুদিন পরে হলেও নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকাল (রোববার) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘প্রচলিত আইনেই ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত গাইবান্ধার মতো একটি আসনের পুরো ভোট বন্ধ করতে পারবে ইসি। এই আইনের কোনো পরিবর্তন হয়নি বা হচ্ছেও না।’

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, নতুন আইনে ফলাফল ঘোষণার পরও একই ক্ষমতা চেয়েছিল ইসি। সেটা সম্ভবত সরকার দিচ্ছে না। তবে কেন্দ্রের ভোট ফল প্রকাশের পরও বাতিল করতে পারবে কমিশন। সুতরাং ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং কিছুটা বেড়েছে। তবে ফল ঘোষণার পরও পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা দিলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরও সহায়ক হতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন বন্ধ করার জন্য প্রধান অনুচ্ছেদ হলো ‘৯১’ এর ‘ক’। একটা নির্বাচনে তিনটা পর্যায় আছে- নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচন চলাকালীন, নির্বাচন পরবর্তী; এই তিনটা ধাপের মধ্যে ৯১-এর ক প্রযোজ্য নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচন চলা পর্যন্ত। সেখানে কমিশনের একটা ক্ষমতা দেয়া আছে। সেই ক্ষমতায় কমিশন অনিয়ম কারচুপি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। এটা তো আছেই আইনে, এক্সিসটিং।’

ইসি রাশেদা বলেন, ‘আমরা যেটা এখানে এসে দেখলাম, নির্বাচনের ফলাফলের তিনটা পর্যায় আছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রে কেন্দ্রে একটা রেজাল্ট দেন, এই রেজাল্ট চারটা কপি করা হয়। একটা প্রার্থীদের জন্য, একটা সাঁটানোর জন্য, একটা রিটার্নিং কর্মকর্তার জন্য, আরেকটা কপি করতে হয়। এগুলো করার পর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। সেই রেজাল্ট হলো প্রাইমারি রেজাল্ট, চূড়ান্ত নয়। ওটার ওপর কে জিতল তার কার্যক্রম শুরু হবে না। শুরু হবে তখন, যখন কমিশন থেকে গেজেট হবে।’

তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার পর কমিশনে ফলাফল পাঠানোর সময় অনেক সময় কিছু অভিযোগ আসে। কিন্তু এই অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। তাকে গেজেটটা করে দিতে হয়। যদি বড় ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে, যে সত্যিকার অর্থেই বড় কোনো অনিয়ম ঘটে গেছে সেটা রেখেই যদি একটা গেজেট করে দেয়া হয়, তখন কিন্তু যারা অভিযোগ তোলেন তাদের একটা কষ্ট থেকে যায়। কমিশনের প্রতি একটা অনাস্থা থেকে যায় যে আমরা একটা অভিযোগ দিলাম, কমিশন যাচাই-বাছাই কিছু না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে রেজাল্ট দিল সেটাই তারা বাস্তবায়ন করে ফেলল। একটা ক্ষোভ কিন্তু তৈরি হয়। একটা নির্বাচন করছেন, কাজেই তার কথাটা তো আমলে নেয়া উচিত। এই জায়গাটাতেই আমরা চিন্তা করলাম যে একটা ‘শূন্যতা’ আছে। কমিশনের হাতে কোনো সুযোগ নেই।

আমরা সেখানেই একটা নতুন প্রস্তাবনা পাঠালাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা পাঠালাম ৯১-এর ক, তার সঙ্গে ক-এর ক বলে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যোগ করতে হবে। সেখানে কোনো অনিয়মের তথ্য বা অভিযোগ আসলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশনটা স্থগিত রাখবে।

এরপর তদন্ত করে যদি অভিযোগটার সত্যতা প্রমাণিত হয় যে আসলেও বড় ধরনের অনিয়ম হয়ে গেছে, সেখানে তখন কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে যে জায়গাটায় অনিয়ম হয়েছে সেই জায়গাটার, যে কেন্দ্র বলেন বা যে আসনটার ভোট বাতিল করার জন্য চাচ্ছিলাম, মন্ত্রিপরিষদ ওখানে পুরো আসনের (এন্টায়ার শব্দটা) কথাটা বাদ দিয়ে সেটা খণ্ড করে আংশিকভাবে একটা অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা পুরোটা কপি এখনো দেখিনি।’

এই কমিশনার বলেন, ‘বিভ্রান্তি যেটা হয়েছে, অনেকে মনে করছেন যে ৯১ (ক)-তে যে ক্ষমতাটা ছিল, নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ার যে সুযোগটা সেটা বোধহয় খর্ব হয়েছে। বিষয়টা তা নয়। আমি যতটুকুর বুঝি, ওটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো ওটা চাইনি। সেখানে প্রস্তাবনা হলো ৯১ (ক) এর সঙ্গে ক (ক) বলে আরেকটা উপ-অনুচ্ছেদ যোগ দেওয়া।

রিটার্নিং অফিসার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা অনিয়ম হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই ক্ষমতাটা চাওয়া হয়েছে।’

গাইবান্ধার মতো ভোট বন্ধ করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝি যে, আমরা পারব। কারণ আমরা ৯১ (ক) নিয়ে কোনো প্রস্তাবই দিইনি। যেটা প্রস্তাবনা যায়নি, সেটা তো বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।’

তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধায় আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় নানা ধরনের অনিয়ম দেখছিলাম। গোপন কক্ষের মধ্যে ভোটার ভোট দেওয়ার আগেই অন্য কেউ দিয়ে দিচ্ছেন। ওখানে আসলে কোনো ভোটারই ভোট দিতে পারছে না।

তখন আমরা ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে নির্বাচনটা বন্ধ করেছি। এখন আমরা চাচ্ছি এক বা একাধিক কেন্দ্র হোক বা যত কেন্দ্রেই হোক, রিটার্নিং কর্মকর্তার ফলাফল ঘোষণার পর এবং গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে অভিযোগ আসলে সেটা যেন তদন্ত করে বন্ধ করতে পারি। সেখানে নতুন করে ভোট হবে।’

এবি/ওজি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের রূপকার, চতুর্থবারের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সফল

বন্ধ হচ্ছে না চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া

চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৮০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় চলন্ত

শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন এমরান

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য

ঈদ যাত্রায় চলবে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন

  ২৩ জুন হতে ৩ জুলাই পর্যন্ত মিতালী ও মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ   যাত্রী ভোগান্তি কমাতে নানাবিধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে একদিনে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১

সবার আগে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৩ ফিলিস্তিনি

ঋণখেলাপি ঠেকাতে পরিদর্শন বাড়ানোর তাগিদ আইএমএফের

আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

২৯ এপ্রিল ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করলো বিসিবি

কুবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলা, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

তাপদাহের কারণে সোমবার ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল বন্ধ

ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বাড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি

জ্যোতির ফিফটির পরও হারল বাংলাদেশ

কঠোর হস্তে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ

সব কথা বলা ঝুঁকিপূর্ণ: ইসি আলমগীর

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় মানবাধিকার কমিশন

মাদারীপুরে হিটস্ট্রোকে কৃষকসহ নিহত ২

আমার তৈরি ইন্ডিয়া জোট দেখে থরথর করে কাঁপেন মোদি