গণমাধ্যম বিষয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতির বিষয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হানাদার বাহিনীর হত্যাকাণ্ড ও স্বাধীনতার বেদীতে পুলিশের আত্মদানের গৌরব এবং পুলিশের সততা, নির্দোষিতা ও নৈতিকতা সম্পর্কিত ধারণার সাথে পুলিশ এসোসিয়েশনের বিবৃতি চরমভাবে সাংঘর্ষিক। গণমাধ্যম নয়, দুর্নীতিবাজদের সতর্ক হতে হবে।
সোমবার (২৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পুলিশের লক্ষ্য রাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত আইন কার্যকর ও প্রয়োগ করা,অধিক্ষেত্রে সর্বসাধারণের নিরাপত্তা, সামাজিক ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। কিন্তু গণবিরোধী সরকারের প্রভাবে পুলিশ বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে জনগণের আস্থা অর্জনে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছে।
পুলিশ এসোসিয়েশনের বক্তব্যে অপরাধ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আরো কার্যকর, গতিশীল ও স্বচ্ছ করার উপায় উদ্ভাবনে এবং সকল ধরনের অসাংবিধানিক, অনৈতিকসহ সকল অবৈধ কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখার শক্তিশালী কাঠামোর প্রশ্নে ও ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে জোরালো বক্তব্য থাকা উচিত ছিল কিন্তু বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় সত্য প্রকাশ করবে; এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গং সীমাহীন অবৈধ সম্পদের মালিক-এই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর গণমাধ্যমকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দেয়াই ছিল এসোসিয়েশনের নৈতিক কর্তব্য।
এসোসিয়েশনের এর কাজ হচ্ছে ‘পুলিশ প্রতিষ্ঠান’কে সুরক্ষা দেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিক তাদের আইনের আশ্রয়ে আনতে সহযোগিতা করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, এটা বিবেচনায় রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ আইন বহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়লে তা ’রাষ্ট্র ধ্বংসের’ মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে এটাই ন্যায় সঙ্গত প্রত্যাশা।
আমার বার্তা/এমই