ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় AEZ ভিত্তিক মিশ্র অনুজীব সার উদ্ভাবন

বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় জলবায়ু ট্রাস্টের ভূমিকা
সর্দার এম জাহাঙ্গীর হোসেন:
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৬

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বের ধনী ও অতি মুনাফালোভী শিল্পোন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো এবং বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ঝুঁকির তালিকায় ছয়টি দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ হবে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ২.৫ শতাংশ এবং ২১০০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সামস্টিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে ক্ষতির পরিমাণ ২১০০ সাল পর্যন্ত জিডিপির ২ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে। জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ব্যয় নিরূপণ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমানে জিডিপির পরিমাণ প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান জিডিপির ৯ দশমিক ৪ শতাংশে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। এ বিষয়ে ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসির) সদস্য কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের ভাষ্য হলো বাংলাদেশ যে নাজুক অবস্থার মধ্যে আছে, তাতে সরকার এখনই পদক্ষেপ না নিলে আগামী শতাব্দী আসার আগেই দেশে বড় ধরনের কৃষি অর্থনীতির বিপর্যয় ঘটবে।

কমে যাবে কৃষিজমি ও কৃষিজীবীর সংখ্যা। বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে।বাংলাদেশের মোট জনশক্তির প্রায় ৫৫ শতাংশ কৃষিকাজে নিয়োজিত। অত্যধিক বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা, দাবদাহ এবং উৎপাদন মৌসুমের সময় কমে যাওয়ার মতো কারণে খাদ্য শষ্য উৎপাদন বর্তমান সময়ের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ কমে যেতে পারে। এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দেবে।

জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ফলে কৃষকদের অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারে নদী-নালা, খাল-বিলে জলাশয়ের পানি দূষণ বাস্তুতন্ত্র ওজীববৈত্রির নিরাপত্তা বিনষ্টের জন্য কম দায়ী নয়। দেশের ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের বর্তমানের চেয়ে বেশি ঝড়ের মুখোমুশি হতে হবে। আবার সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে প্রচুর কৃষিজমি নদীভাঙনের শিকার হয়ে বিলীন হয়ে যাবে।বিভিন্ন কারণেই প্রতিনিয়ত কৃষি জমির পরিমাণ কমছে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান ও গবেষনা কেন্দ্রের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার ল্যাবের গবেষক - মুখ্য বিজ্ঞানী ড.মোঃ লতিফুল বারী মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমানোর জন্য দুই ধরনের উপায় গ্রহণের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। ১. হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, যা বাংলাদেশের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এ জন্য বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।২. উন্নত দেশগুলোর দেওয়া জলবায়ু তহবিলের অর্থ যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা। তাই নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়সহ অন্যান্য বিশ্বদ্যিালয় ও গবেষণামুলক প্রতিষ্ঠান গুলোর গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

যদিও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। এধরনের গবেষণার বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট, পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতার প্রয়োজন ।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি জমির মাটি উর্বরতা হারাচ্ছে, ভূমিক্ষয় বাড়ছে এবং জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত কেমিক্যাল সার, অতিবৃষ্টি, খরা, এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে, যা শস্য উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর ফলে, মাটির স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনশীলতা উভয়ই কমে যাচ্ছে,ফসল উৎপাদন কমছে কৃষকের আয় কমে যাচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির সন্মুখিন হচ্ছে , পাশাপাশি জলজ পরিবেশ বাস্তুতন্ত্র জীববৈত্রি ঝুঁকির মধ্যেই থাকছে ।

মাটির উর্বরতা ঘাটতিতে দেশের ৭৫-৮০ % চাষযোগ্য জমির, রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিচাষাবাদ ও খাদ্য নিরাপত্তায় নানা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যেমন-অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার মটির স্বাস্থের ঘাটতি বা দূষণ, নদীনালা জলাশয়ের পানি, বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈত্রির ক্ষতি করছে এবং অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা, ও উচ্চ তাপমাত্রা ফসলের ক্ষতি করছে। এর ফলে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে, খাদ্যবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে এবং কৃষকরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্লাইমেট স্মার্টি টেকনোলজি -AEZ ভিত্তিক মিশ্র অনুজীব (মাইক্রোবিয়াল) সারের ব্যবহার তথা স্মার্ট কৃষি (Climate-Smart Agriculture) একটি সমাধান হতে পারে, যা মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি ,উৎপাদনশীলতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমায়।আর তাই বেশি বেশি এ ধরনের সার উদ্ভাবন টেকনোলজি উপর গরবষণার জন্য প্রয়োজন্য ।

চিত্রঃ বিঘা প্রতি রাসায়নিক সার ব্যাবহারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়

দেশে মাটির উর্বরতাশক্তি ক্রমেই কমছে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিতে ভুগছে কৃষিজমি। বাড়ছে অনুর্বর তথা অনাবদি হয়ে পড়া জমির পরিমাণ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য বলছে, ২০০০ সালে দেশে উর্বরতা ঘাটতিতে থাকা জমির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১০ লাখ হেক্টর। ২০২০ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ হেক্টরে। জমির অনুর্বরতা যেভাবে বাড়ছে, তা দেশের মাটির উর্বরতাশক্তি ক্রমাগত কমছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপাদানের ঘাটতিতে থাকছে কৃষিজমি । বাড়ছে অনাবাদি জমির পরিমাণ । সাম্প্রতি একটি গবেষণার চিত্রে দেখা য়ায় ২০০০ সালে দেশে উর্বরতা বা অনাবাদি জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ হেক্টর । ২০২০ সারে বেড়ে পরিমাণ ১১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টরে । বর্তমানে আরও অনেক বেশি । জমির অনুর্বতা বা অনাবাদি যেভাবে বাড়ছে তা আশঙ্কাজনক । এর পেছনে অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহারকে দায়ী করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞানী ড.মোঃ লতিফুল বারীসহ অনেক বিজ্ঞানী ও গবেষকরা ।সুতরাং অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে ।এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করার অর্গানাইশেনগুলোর সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক একটি মাঠ পর্যায়ের গবেষণা হতে মুখ্য বিজ্ঞানী ড.মোঃ লতিফুল বারী জানান যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্লাইমেট স্মার্ট মিশ্র অনুজীব (মাইক্রোবিয়াল) সার ব্যবহার ,পরিবেশ ও জলবায়ু উপর ইতিবাচক প্রভাব এবং মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি কৃষকের আয় বৃদ্ধি পায় ।পাশাপাশি জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং দেশের কৃষি অর্থনীতি তথা সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখতে পারে ।

পরিবেশ ও জলবায়ু উপর ইতিবাচক প্রভাব-গবেষণা তথানুযায়ী, মিশ্রঅনুজীব সার (মাইক্রোবিয়াল) ব্যবহারে কার্বন ডাই-অক্সাইড ইমিশন বহুগুন কমবে পাশাপাশি কেমিক্যাল (NPK) সার ব্যবহারের প্রবনতা ৭৫-৮০% অর্থ্যাৎ বহুগুণ কমে আসে ফলে মাটি, পুকুর নদীনালা ,জলাশয়ের পানি এবং পরিবেশ দূষন বহুগুণ কমে আসে এর ফলে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায় , যা আরও স্থিতিস্থাপক এবং সুষম বাস্তুতন্ত্রে অবদান রাখে। সুতরাং জলবায়ু ও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ড. লতিফুল বারী জানান, মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি-অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করার কারনে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায় বা মাটির উপকারী অনুজীবের মাত্রা 105-7 CFU/g এ নেমে আসে। যেখানে প্রতি গ্রাম উর্বর মাটিতে 1010-12 CFU/g থাকার কথা। সুতরাং এই অনুজীব সার ব্যবহার করলে মাটির স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায় বা উর্বরতা বৃদ্ধি পায়,চাষযোগ্য জমির পরিমান বাড়বে এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার বহুগুন কমে যায় । জলাশয়ের পানি, পরিবেশ দূষন বহুগুণ কম হয় ফলে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে ও বাস্তুতন্ত্র অনুকূল পরিবেশ পাবে ।

ছবি: পাবনায় পিয়াজের জমির জন্য কৃষকরা নিজে নিজে মিশ্র অনুজীব সার তৈরি করছে দেখাচ্ছেন ড.মোঃ লতিফুল বারী

ফসলের উৎপাদ বৃদ্ধি-অনুজীব সার ব্যবহার করলে মাটির স্বাস্থ্য বা উর্বরতা শক্তি ফিরে পায় ফলে ফসল উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় । ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেই ক্রমবর্ধমান বাড়তি জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদা মিটাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। অণুজীব সার পুষ্টির প্রাপ্যতা এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি উন্নত করে ফসলের উৎপাদন ২০-৩০% বৃদ্ধি করতে পারে। এগুলি পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধি করে, যার ফলে উদ্ভিদ সুস্থ থাকে এবং উন্নত মানের ফসল উৎপাদন করে বল গবেষণা হতে জানা যায়।

কৃষকের আয় বৃদ্ -অনুজীব সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক (NPK) সার ব্যবহার বহুগুণ কমে যায় অর্থ্যাৎ ৭৫% কম হয় এবং জমিতে ফসল উৎপাদন আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায় ফলে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ কমবে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে।এ সার ব্যবহারে -মাটির স্বাস্থ্য বৃদ্ধি বা উর্বরতা বৃদ্ধি হয়, ফলে কৃষকের বহু অনাবাদি বা পতিত জমিতে কৃষক পুনরায় ফসল ফলাতে পারবে সুতরাং কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে।

নারী কৃষকেরা যেভাবে উপকৃত হবেন- অনুজীব স্যার খুব সহজে নারী কৃষকেরা তাদের বাসাবাড়িতে বানাতে পারবে কারণ অনুজীব গুলো বাড়ির আঙিনার পঁচা ময়লা গবর, মাটি বা জৈব সারের সাথে মিশিয়ে তৈরি করতে হয় যা নারী কৃষকদের জন্য খুবই সহজ হবে এবং এর ফলে নারী উদ্দোক্তা তৈরি হবে।

দেশীয় প্রযুক্তির সার উদ্ভাবন সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব - মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের উদপাদন বৃদ্ধি পাবে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে ফলে কৃষি অর্থনীতির ইতিবাচক প্রভাব হবে। দীর্ঘদিনের পতিত বা অনাবাদি জমিগুলো প্রাণ ফিরে পাবে, ফসল উৎপাদন বাড়বে এবংকৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নতুন উদ্দোক্তা বা কৃষি শিল্প তৈরি হবে অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে দেশীয় নিজস্ব প্রযুক্তিতে পরিবেশ বান্ধব সার শিল্প তৈরি হবে ফলে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে।

গবেষকদের মতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্লাইমেট স্মার্টি টেকনোলজি - AEZ ভিত্তিক মিশ্র অনুজীব (মাইক্রোবিয়াল) সার উদ্ভাবন ও ব্যবহার গবেষণা সরকারি বেসরকারি সহযোগিতায় ছোট পরিসরে চলছে, এ গষেণার ফলাফলে সারের কার্যকরিতাও খুবইভাল পাওয়া গেছে।

সুতরাং আমার মতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় Climate Smart Technology - AEZ ভিত্তিক মিশ্র অনুজীব (Microbial) সার যুক্তি উদ্ভাবন ব্যবহার গবেষণাটি পাইলটিং পর্যায়ে অর্থ্যাৎ বড় পরিসরে করার সময় এখনই । এ জন্য সরকারের তরফ কোন প্রকল্প গ্রহন করাসহ উৎসাহ ও সহযোগিতা উচিত ।

আমি মনে করি সরকার এধরনের উদ্যোগ নিলে বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলো কে বাবদ সহযোগিতা করলে দেশীয় প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্লাইমেট স্মার্ট অনুজীব (মাইক্রোবিয়াল) সার শিল্পের দ্বার উন্মোচন হবে, নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে দেশের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে গরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখবে ।

লেখক গবেষক : সাবেক সহ আর্ন্তজাতিক ,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ।

আমার বার্তা/সর্দার এম জাহাঙ্গীর হোসেন/এমই

শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্য: ১-১২তম ব্যাচের নিবন্ধিতদের ন্যায়বিচার দাবি

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যেন এক অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)

শিক্ষা-শিল্প ফাঁক কমাতে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা গত এক দশকে বিস্তারের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

হাদির ওপর হামলা, শান্তির পথে কাঁটা ছড়াচ্ছে কারা?

বহু প্রতীক্ষা ছিল। নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছিল দেশ। নির্বাচন কমিশন ‘তফসিল’ ঘোষণা করল। নির্বাচনের ট্রেন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট

জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের অপরিহার্য দায়িত্ব। তবে, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মগবাজারে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া বোমা বিস্ফোরণে যুবক নিহত

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশে রওনা দেবেন তারেক রহমান

সরকারি কর্মচারীরা অবসরের ৩ বছর আগে নির্বাচন করতে পারবেন না

বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

দেশীয় অর্থায়নে প্রকল্প বাড়িয়ে দেশকে স্বনির্ভর করার আহ্বান

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার

হাদি হত্যায় মোটরসাইকেল চালকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ-৪ আসন গণঅধিকারের রাশেদকে দিল বিএনপি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছয় দফা দাবিতে ধর্মপাশায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি

ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ মিছিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম নিলেন রুমিন ফারহানা

পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়লো

উদ্যোক্তা তৈরিতে আনসার-ভিডিপির ‘সঞ্জীবন’ বিষয়ক কর্মশালা

৬ সৌর প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম: টিআইবি

আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব

গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ডেকে নিয়ে ইটভাটায় কুপিয়ে হত্যা

ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যক্তিগত রিভিউ চালু করল ওপেনএআই

ইসলামে খারাপ ভাগ্য পরিবর্তনের দোয়া

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ঢাকামুখী বেরোবির ছাত্রদলের নেতাকর্মী

নির্বাচনী ব্যয় বেশি হলে ভোটে জিতে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়