‘হাত রেখে হাতে, উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’ প্রতিপাদ্যে আজ (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হবে। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হবে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান।
কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং টেকসই খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
এফএও ছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা, যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলও এই দিবস পালন করে।
২০২০ সালে খাদ্য সংকট মোকাবেলা, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করায় ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বিশ্ব খাদ্য দিবস (ডব্লিউএফডি) ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০তম সাধারণ সম্মেলনে সংস্থার সদস্য দেশগুলির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। হাঙ্গেরির প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্বে ছিলেন হাঙ্গেরির সাবেক কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ডাঃ পাল রোমানি, এফএও সম্মেলনের ২০তম অধিবেশনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং বিশ্বব্যাপী বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপনের ধারণা প্রস্তাব করেন।
এরপর অনেক দেশে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার পেছনের সমস্যাগুলির প্রতি সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসটি পালিত হয়। ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি উপলক্ষৈ একটি ‘প্রতিপাদ্য’ গ্রহণ কর হয়। তাতে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।
১৫০টিরও বেশি দেশে, বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের উদাহরণগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই