দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনে সারাদেশে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাশফিক ইসলাম।
মাশফিক ইসলাম বলেন, আজ সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নিজ নিজ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান, বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ‘কাকতাড়ুয়া দহন কর্মসূচি’ পালন করবেন শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে অযৌক্তিক তিন দফা দাবির কবর রচনা করা হবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কোটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় যে কোটার সংজ্ঞা দিয়েছে, তাতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা এ নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
এসময় কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, প্রকৌশলী আন্দোলনের ব্যানারে কিছু বিএসসি ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী অযৌক্তিক তিন দফা দাবির নামে মব সৃষ্টি করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে, এমনকি প্রকাশ্যে আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদসহ চার দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। টানা প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধের পর দুপুর ২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
অবরোধ চলাকালে সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল। ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। সময় গড়াতেই যানজটের প্রভাব পরতে শুরু করে রাজধানী ঢাকাজুড়ে। ফলে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে দেখা দেয় যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
তবে দুপুর ২টার পর সড়কের অবস্থান ছাড়লে শুরু হয় যানচলাচল। ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে গাড়ি চলাচল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো-
১. প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন কর্তৃক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে গুলি ও জবাই করে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম রাষ্ট্র কর্তৃক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৩. কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই