ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের গেট খুলে শিশুসহ ৫৪ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
রোববার (২৫ মে) বিকেল ৪টার পরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন কুসুমপুর ও বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইনের এ ঘটনা ঘটে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক ও কোয়ার্টার মাস্টার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কুসুমপুর ও বেনীপুর বিওপির পৃথক অভিযানে আটক করা হয় তাদের। আটকদের মধ্যে ১৯ জন নারী, ১১ জন পুরুষ ও ২৪ জন শিশু রয়েছে।
তাদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- লালমনিরহাট সদরের খোরারপুল গ্রামের শাহজাদার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), জাহাঙ্গীর আলমের ভাই জিয়ারুল (২৩) ও রাসেল (২১), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার জয়মঙ্গল গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৬), একই গ্রামের জাকারিয়া হোসাইন (২৮) ও একই উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী (৫০), খুলনার দাকোপ থানার কামারখোলা গ্রামের হাকিম সিকদার (৫২), তার ছেলে শাহাজান সিকদার (২১), নড়াইলের কালিয়া থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের আপন মল্লিক (৫১) ও একই গ্রামের মালেক হাওলাদারের ছেলে মনি হাওলাদার (২৮)।
আটক ব্যক্তিদের বরাতে বিজিবি জানিয়েছে, ভারতের গুজরাট থেকে নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে ফেরার জন্য সীমান্তে আসেন ৪৫ জন। পরে শনিবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন তারা। একপর্যায়ে সীমান্ত পিলার নম্বর ৬২/২-এস এবং ৬২/৩-এস এর মধ্যবর্তী গেট খুলে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ।
একইভাবে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন বেনীপুর বিওপি এলাকায় সীমান্ত গেট খুলে দিয়ে নয়জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করে বিএসএফ।
আটক ব্যক্তিদের বরাতে বিজিবি আরও জানিয়েছে, গত ২৪ মে নয়জনকে আটক করে ভারতের হরিয়ানা পুলিশ। পরে বাসে করে তাদের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন জীবননগর সীমান্তের ওপারে বিএসএফ ক্যাম্পে রেখে যায় হরিয়ানা পুলিশ। রোববার বিকেল ৪টার দিকে সীমান্তের ৬২/২-এস এবং ৬২/৩-এস পিলারের মধ্যবর্তী গেট খুলে ওই নয়জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। পরে বিজিবির হাতে আটক হন তারা।
মহেশপুর খালিশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সীমান্তের গেট খুলে দিয়ে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। পরে বিজিবির টহল দলের হাতে আটক হন তারা। আটক ব্যক্তিরা ভারতের হরিয়ানা ও গুজরাটে বসবাস করতেন। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশই জীবননগর থানার অধীনে আটক হয়েছেন। জীবননগর থানার মামলায় তাদের আসামি করা হতে পারে। মহেশপুর থানার অধীনে আটজনকে পেয়েছি আমরা। তাদের নামে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই