
স্মার্টফোনের যুগে বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। আবার সুরক্ষার জন্য অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করেন অনেকে। ফোনে ডাউনলোড করার সময়ে ভুয়া, থার্ড পার্টি অ্যাপ এবং অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার আছে কি না টা যাচাই করে নিন।
নতুন অ্যাপ ইনস্টল করার আগে এবং ব্যবহার করার সময় নিচে দেওয়া কৌশলগুলো অনুসরণ করলে ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেসব-
১. অ্যাপের উৎস যাচাই করুন
অফিসিয়াল স্টোর ব্যবহার: গুগল প্লে স্টোর (অ্যান্ড্রয়েড) বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর (আইওএস) ছাড়া অন্য কোনো অজানা উৎস (যেমন এপিকে ফাইল) থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। এই অফিসিয়াল স্টোরগুলোতে অ্যাপ আপলোড করার আগে সাধারণত নিরাপত্তা যাচাই করা হয়।
গুগল প্লে প্রোটেক্ট চালু রাখুন: অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্লে স্টোর এর প্লে প্রোটেক্ট অপশনটি চালু আছে কি না তা নিশ্চিত করুন, যা ক্ষতিকারক অ্যাপ স্ক্যান করতে সাহায্য করে।
২. অ্যাপের তথ্য পরীক্ষা করুন
ডেভেলপারের বিশ্বাসযোগ্যতা: অ্যাপের বিবরণ অংশে বা স্টোরে ডেভেলপারের নাম এবং তাদের অন্য অ্যাপগুলো দেখুন। পরিচিত বা স্বনামধন্য ডেভেলপারদের অ্যাপ ব্যবহার করুন।
ব্যবহারকারীর রিভিউ ও রেটিং: অ্যাপটির রিভিউ ও রেটিং মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যদি দেখেন অনেকেই অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন, ফেইক অফার বা ম্যালওয়্যারের অভিযোগ করেছে, তবে অ্যাপটি ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন।
ডাউনলোড সংখ্যা: একটি অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যা যদি খুব কম হয় (বিশেষত নতুন অ্যাপ না হলে), তবে সতর্ক হোন।
৩. অ্যাপের পারমিশন বুঝেশুনে দিন
অ্যাপ ইনস্টল করার পর সেটি আপনার ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে অ্যাক্সেস চায়, যাকে পারমিশন বলে। যেমন, একটি ফটো এডিটিং অ্যাপকে গ্যালারি বা স্টোরেজের পারমিশন দিতেই হবে, কিন্তু কেন সেটি কন্ট্যাক্ট বা মাইক্রোফোনের পারমিশন চাইছে তা ভেবে দেখুন। শুধু প্রয়োজনীয় পারমিশনগুলোই অনুমোদন করুন।
৪. নিয়মিত আপডেট ও অ্যান্টিভাইরাস
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট: আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং সিকিউরিটি প্যাচ সর্বদা আপডেটেড রাখুন।
অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার: আপনি যদি অতিরিক্ত সুরক্ষা চান, তবে ভালো রেটিংযুক্ত একটি বিশ্বাসযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করে মাঝে মাঝে পুরো ফোন স্ক্যান করতে পারেন। (যেমন: অ্যাভাস্ট, ক্যাসপারস্কি, বিটডিফেবন্ডার ইত্যাদি)।
এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে আপনার ডিভাইস ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
আমার বার্তা/এল/এমই

