
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও ৩২০ জন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) তালেবান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পে হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফত জামান সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। চূড়ান্ত সংখ্যা পেতে আরও সময় লাগবে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, স্থানীয় সময় সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলের মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলমে ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বলে উল্লেখ করেছে। রাজধানী কাবুল থেকে সংবাদ সংস্থা এএফপির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, তারাও এই কম্পন অনুভব করেছেন।
গত কয়েক মাসে একটার পর একটা ভূমিকম্প আঘাত হানছে আফগানিস্তানে। গত ২৪ অক্টোবর ভোরে আফগানিস্তানে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এতে হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি।
তার আগে গত ১৭ অক্টোবর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পন অনুভূত হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরেও। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.০। তাতে দু’হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন আরও প্রায় তিন হাজার মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা
আমার বার্তা/এল/এমই

