গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য আলোচনার টেবিলে ফেরার জন্য ইসরায়েলকে শর্ত বেঁধে দিয়েছে কাতার। সম্প্রতি দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল যে বিমান হামলা চালিয়েছে, সেজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে বলেছে দেশটি।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য জেরুজালেম পোস্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি দোহায় একটি বৈঠক হয় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র মধ্যে। সেখানেই কাতারের আমির দাবি তোলেন, দোহায় বিমান হামলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে ইসরায়েলকে। তেমনটা না হলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য আলোচনায় ফিরবে না কাতার।
আল থানির সঙ্গে বৈঠকের পরে বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইসরায়েলে কৌশলগত বিষয়কমন্ত্রী রন ডারমারের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, কাতার ইসরায়েলের কাছ থেকে এমন এক ধরনের ক্ষমাপ্রার্থনা আশা করছে, যেখানে নিহত কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে কেন্দ্র করে দুঃখ প্রকাশ থাকবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন না করার প্রতিশ্রুতিও দিতে হবে ইসরায়েলকে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মনে করছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য কাতারের মধ্যস্থতা অপরিহার্য। এ কারণে বর্তমানে তেল আবিব ও দোহার মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আমার বার্তা/এমই