উত্তর গাজার শেষ কার্যকরী হাসপাতাল আল-আওদা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল, যার ফলে বোমাবর্ষণ ও দুর্ভিক্ষে জর্জরিত এই অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের চাপ ও অব্যাহত হামলার ফলে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একে চিকিৎসা খাতের বিরুদ্ধে লঙ্ঘন ও অপরাধের ধারাবাহিকতা বলে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে আল-আওদা হাসপাতাল-এ ১৩ জন রোগীসহ মোট ৯৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের স্থানান্তরের চেষ্টা করছে জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও যান চলাচলের অনুপযোগী রাস্তাগুলোর কারণে চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, আল-আওদা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর গাজায় আর কোনও কার্যকর হাসপাতাল অবশিষ্ট নেই। হাসপাতালটি সেখানকার মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে, যেন তারা আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন অনুসারে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
গাজায় চলমান অবরোধ ও বিমান হামলায় ইতোমধ্যে ১,৪০০-র বেশি চিকিৎসাকর্মী, রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও দৃঢ় পদক্ষেপের দাবি জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে উত্তর ও পূর্ব গাজা শহরে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বহু মানুষ।
আমার বার্তা/জেএইচ