বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশনের ৭ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। ট্যাগিং বন্ধ করে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৩১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানায় জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের।
তিনি বলেন, ২১ মে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা শাস্তিপুর্ন অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। এতোদিনে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ সেখানে গিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বোধ করেনি। আমরা বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। তিনি সাড়া দেননি।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসিনার আমল থেকে আন্দোলন করে আসছে। হাসিনা যেমন জামাত-বিএনপি ট্যাগ দিয়ে তাদের আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছে। এখনও নানাভাবে ট্যাগিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ট্যাগিং জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুক। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ, এই অবস্থায় আন্দোলন চলমান থাকলে পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। সেবা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, তারা রোদ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন করে আসছে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা করা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আপনারা (সরকার) তাদের সঙ্গে বসেন, কথা বলেন, তাদের দাবি দাওয়া শুনেন, নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করুন, যেটা যৌক্তিক সেটা মেনে নেন। তবে আমাদের মনে হয়েছে তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক।
জুলাই ঐক্যের অপর নেতা মোছাদ্দেক বলেন, আগে যেভাবে ট্যাগিং দেওয়া হতো, এখনও তাদের ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগিং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা যদি ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু অযথা ট্যাগিং বন্ধ করেন, তাদের সঙ্গে বসে সমঝোতা করেন।
গত ২১মে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি জরুরি সেবা বহাল রেখে কর্মবিরতী পালন করে আসছে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনকারিরা। ৩১ মে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে জরুরি অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইলসমূহ স্ব স্ব সমিতির অফিস প্রধানের কাছে জমার মাধ্যমে।
শনিবার বৃষ্টি উপেক্ষা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সারাদেশ থেকে আন্দোলকারিরা যোগ দিয়েছেন। পবিস সিলেট-২ এর এমআরসিএস রঞ্জন সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমাদের সমিতির ২২ জন মিটার রিডারের মধ্যে সকলেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরছি না। প্রয়োজনে শহীদ মিনারেই ঈদ পালন করবো।
পবিস টাঙ্গাইলের লাইন শ্রমিক সানোয়ার হোসেন একই কথা বলেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমাদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা না করে বিদ্যুৎ বিভাগ এক তরফা কমিটি করেছে। আমরা ওই কমিটি প্রত্যাক্ষাণ করছি। দাবি পুরণ না হাওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরছি।
আরইবি-পবিস দ্বৈত ব্যবস্থাপনা নিরসন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবিতে চলছে আন্দোলন। সম্প্রতি আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি যুক্ত করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন।
আমার বার্তা/এমই