আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের মাঝে দেশের চলচ্চিত্রের জন্য সুন্দর বাজার বিপনের ব্যপারে সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে ভুমিকা রাখতে চাই। চলচ্চিত্রের সম্মানীত পরিচালকদের সম্মানজনক সামাজিক অবস্থান করতে সবার সহযোগীতা নিয়ে কাজ করতে চাই।। দেশের ফিল্ম এন্ড মিডিয়ার দেশী বিদেশী বাজার প্রসারের জন্য দেশের সকল দেশী বিদেশী শিল্পীর সাথে কথা বলতে চাই আমরা। শিল্পের সকল মহাজনের সাথে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে মত বিনিময় করতে চাই সবাইকে নিয়ে আমরা। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় আমাদের সুন্দর সুন্দর চলচ্চিত্রের দারুন মালা গেথে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করতে চাই সবাইকে সাথে নিয়ে।। যেন দেশের মানুষ আবার নতুন করে নিজের দেশের বাংলা সিনেমার প্রতি মনোযোগী হতে পারেন।। গ্রাম গঞ্জের সকল মানুষের মাঝে সিনেমার নতুন সেতু বন্ধনের মধ্য দিয়ে আবার গড়ে উঠবে চলচ্চিত্রের তুমুল বানিজ্য। আর বানিজ্য বাড়লেই লক্ষকোটি টাকা নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের মানুষ সিনেমায় বিনিয়োগ করবেন। সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে নতুন করে দেশের সিনেমার সাথে আলাপ পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য তাদের নিয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজন করতে হবে নিয়মিতভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঢাকা শহরে চলচ্চিত্রের সবাইকে নিয়ে কালারফুল এক বিশাল র্যালীর আয়োজন করতে হবে মাঝে মধ্যেই সকল সংগঠন মিলে।। চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত সংগঠনগুলোর দুরুত্ব কমিয়ে এনে ঘনত্ব বাড়াতে হবে। নিজদের মধ্যে কেউ গাছ দল কেউ মাছ এইসব ভুলে আন্তরিক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে চলচ্চিত্রের প্রচার প্রসারে।। সবাই সবাইকে সম্মান দিয়ে আগের মত আন্তরিক ভুমিকা রাখতে হবে।
"দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ" এমন ভাবনায় চলচ্চত্রের উন্নয়নে আমাদের সবাইকে নিয়ে একত্রে ভাসতে হবে।। উপরের কথাগুলো অনেক আশা ভালবাসা নিয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ের সাথে বলছিলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।হাবিবুল ইসলাম হাবিব একজন স্বপ্নবাজ নির্মাতা হিসেবে পরিচিত চলচ্চিত্র পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি একাধারে একজন সাংস্কৃতিক কর্মী, নাট্য নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ‘প্রেক্ষাপট’ নাট্যদল নিয়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব যাত্রা শুরু করেন। পরিচালনা করেন বহুল আলোচিত মঞ্চনাটক ‘ইদানীং তিনি ভদ্রলোক’, ‘খাঁটি মীরজাফরের বাচ্চা’, ‘ব্যারিকেড চারিদিক’, ‘সারাদিন পর’ "উল্টোরাত পাল্টাদিন "ইত্যাদি। ‘ইদানিং তিনি ভদ্রলোক’ তাঁর প্রচণ্ড জনপ্রিয় একটি নাটক। তিনি শুধু মঞ্চে থেমে থাকেননি। আশির দশকে দেশকে নিয়ে বানিয়েছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বখাটে’ ও ‘বিজয় নব্বই’। যুক্ত ছিলেন গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের সঙ্গে। পাশাপাশি প্যাকেজ নাটকের আন্দোলন, সম্মিলিত জোট গঠনের আন্দোলন, শর্ট ফিল্ম মুভমেন্টসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন।
বাংলাদেশে অ্যাকশন থ্রীলার ড্রামার রূপকার তিনি। তার হাতেই নির্মিত হয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নাটক, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে নিয়ে থিম সং ও টিভি ফিলার। প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাত্রির যাত্রী’ আলোচিত ও বক্সঅফিস হিট চলচ্চিত্র। ইতিমধ্যে সেন্সারের কাজ শেষ করছেন বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে সাহিত্য ও ইতিহাস নির্ভর চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’।।বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘যাপিত জীবন’ অবলম্বনে এর পটভূমি রচিত হয়েছে সাতচল্লিশের দেশভাগ এ আমাদের ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে।
পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব যাপিত জীবনের দেশ বিদেশে মুক্তির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আমার বার্তা/এমই