দেশের টেলিভিশন জগতের এক পরিচিত নাম নাজমুল আলম রানা। প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন দেশের জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক চ্যানেল, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে। তার অদম্য পরিশ্রম আর মেধায় অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিনোদন বিভাগ। বিনোদনের যেকোন খবর সবার আগে সবশেষ প্রচার কিংবা প্রকাশের পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে এই বিভাগ। আর তাই, বিনোদন অঙ্গনের মানুষদের কাছে এক আস্থার নাম, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিনোদন সংবাদ। তারই স্বীকৃতি হিসেবে বছরের সেরা বিনোদন সাংবাদিকের পুরস্কার পেলেন নাজমুল আলম রানা। সদ্য অনুষ্ঠিত মিরর ম্যাগাজিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে এই সম্মাননা। পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশে নাজমুল আলম রানা বলেন, "পুরস্কার নিঃসন্দেহে কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। সচরাচর আমি পুরস্কার গ্রহণ করি না। কিন্তু যখন দেখলাম দেশের সব চ্যানেলের মধ্য থেকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিনোদন বিভাগটাকে আলাদা করা হয়েছে, তখন এই পুরস্কারের প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ আয়োজকদের"। নাজমুল আলম রানার জন্ম ঢাকায় হলেও বেড়ে ওঠা ফেনীতে। পড়াশোনার মাঝে ২০০৬ সালে অক্টোবরে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় হলিউড তারকা ম্যাডোনাকে নিয়ে লেখা একটি প্রতিবেদন দিয়ে লেখালেখি জীবন তার। ২০১০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করেন। এরপর সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায়। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্ত হন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে বিনোদন ও লাইফস্টাইল বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল আলম রানা। তিনি বলেন, "স্বতন্ত্র কাজ করার জন্য আদর্শ একটি প্রতিষ্ঠান চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। এখানে কাজের যেমন স্বাধীনতা আছে, তেমনি বিনোদন জগতের খবর বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়। আর এ জন্যই ১৪ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছি"। দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেলে বিনোদন বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরি সংগঠন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ টেজাব এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল আলম রানা। এই সংগঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, "এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো, টেলিভিশনের প্রকৃত সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করা। কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই আমরা অনেক ক্রাইসিস ফেস করি। এক্ষেত্রে সংকট মোকাবেলায় একা কথা বলা দুস্কর। যদি সম্মিলিতভাবে একটা প্ল্যাটফর্ম থেকে কথা বলি, তাহলে কাজটা সহজ হয়। সে জায়গা থেকেই টেজাব এর পথচলা"। আসছে ৬ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।