বড় বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য শত শত কোটি টাকা বাজেট রাখা হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, নব্বই দশকে একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণের জন্য প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় করেছিলেন নির্মাতারা। ‘স্ক্রিম’ শিরোনামের গানটি জায়গা করে নেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
মাইকেল জ্যাকসনের অডিও গানের নবম অ্যালবাম ‘হিস্ট্রোরি: পাস্ট, প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার, বুক-১’। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দুই ভাগে (ডিস্ক-১, ডিস্ক-২) এই অ্যালবামের ৩০টি গান রেকর্ড করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২০ জুন মুক্তি পায় অ্যালবামটি। এই অ্যালবামে ছিল ‘স্ক্রিম’ গানটি।
‘স্ক্রিম’ গান নিয়ে নির্মিত হয় মিউজিক ভিডিও। গানটিতে যৌথভাবে কণ্ঠ দেন বিশ্বনন্দিত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন ও তার বোন জ্যানেট জ্যাকসন। এ গানের কথা লেখেন মাইকেল জ্যাকসন, জ্যানেট জ্যাকসন, জিমি জ্যাম এবং টেরি লুইস। এই গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণে ব্যয় হয় ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা)। এটি প্রযোজনা করেন গানটির চার গীতিকার। এটি পরিচালনা করেন মার্ক রোমানেক। ‘হিস্ট্রোরি: পাস্ট, প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার, বুক-১’ মুক্তির আগে ‘স্ক্রিম’ গানের ভিডিও মুক্তি পায়। অর্থাৎ ১৯৯৫ সালের ২৯ মে মুক্তি পায় এটি।
মাইকেল জ্যাকসনের এ গান মুক্তির পর কেটে গেছে ৩০ বছরের বেশি সময়। এখনো এ গানের ব্যয় অতিক্রম করতে পারেনি। সবচেয়ে ব্যয়বহুল মিউজিক ভিডিওর জায়গা এখনো দখলে রেখেছে গানটি।
যেসব খাতে ব্যয় হয় বাজেটের অর্থ:
১. কস্টিউম ও সেট নির্মাণ: ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি)।
২. জ্যানেট জ্যাকসনের মেকআপ: ৮ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকার বেশি)।
৩. সিজিআই স্পেসশিপ ইফেক্ট: ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৯ লাখ টাকার বেশি)।
৪. কোরিওগ্রাফি: ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ লাখ টাকার বেশি)।
৫. আর্ট ও ভিডিও ইনস্টলেশন: ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি)।
৬. লাইটিং: ১ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকার বেশি)।
৭. ইনস্ট্রামেন্টস: ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৪ লাখ টাকার বেশি)। বাকি অর্থ অন্যান্য খাতে খরব হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই