সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমে লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, শীত মৌসুমেও অধিকাংশ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল। চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
জায়গা ভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৩০-৫০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ১১০-১৪০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৭০-৯০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০-১১০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আবার দেখা গেছে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ৮০-১০০, ঝিঙা ৭০-৯০, কচুর লতি ৭০-৯০ টাকা, কচুর মুখী ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০-৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৭০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও কথা শুনছে না কেউ। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ৭৫০ টাকা কেজি, কোথাও আরও বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে স্থানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।