
বরেন্দ্র জনপদ মেতেছে উৎসবের আমেজে। কৃষিনির্ভর এই জনপদে নতুন ধানের ঘ্রাণ আর নবান্নের আনন্দ একাকার হয়ে ওঠেছে। নতুন চালের পিঠা-পায়েস, ঘরে অতিথি বরণ, আর সামাজিক সংগঠনের রঙিন আয়োজন—সব মিলিয়ে রোববার (১৬ নভেম্বর) অগ্রহায়ণের প্রথম দিনটি যেন হয়ে ওঠেছে নওগাঁর প্রাণের উৎসব।
বরেন্দ্রর মাঠে এখন চারদিকে সোনালি সমারোহ। পাকা ধানের শীষে ভরে ওঠা মাঠ থেকে ভেসে আসছে মৌ মৌ ঘ্রাণ। কৃষক-কৃষাণীর ব্যস্ততা বেড়েছে। এই নতুন ধান দিয়েই ঘরে ঘরে তৈরি হয় বাহারি পিঠা-পায়েস। অগ্রহায়নের প্রথম দিনটিতে প্রতিটি ঘরেই যেন থাকে আলাদা আনন্দ। খেজুর গাছের রস নামানোর ভোরের দৃশ্য, আর সেই রস দিয়ে তৈরি পায়েস ও পিঠা— বাঙালি জীবনের চিরচেনা শিকড়ের উষ্ণতা আবারও ছড়িয়ে দেয় প্রতিটি পরিবারে।
এদিকে নবান্নের প্রথম প্রহর থেকেই জেলা সামাজিক সংগঠনগুলো আয়োজন করেছে রঙিন নানা অনুষ্ঠান। শহরের মুক্তির মোড়ে শিশু-কিশোরদের নবান্নের জয়োগান ‘ধান কাটি কাটি ধান—নবান্ন এলো গান।’ মঞ্চে শিল্পীদের বর্ণিল পোশাকে নবান্নের আগমনী আহ্বানের লোকনৃত্য আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। ফুটে ওঠে বাংলার শতশত বছরের লোকজ ঐতিহ্য।
নওগাঁ সংগীত নিকেতনের পরিচালক অখিল চন্দ্র বলেন, এবার আমরা নবান্ন নিয়ে অনেক প্রস্ততি নিয়েছি। শিশু কিশোরদের নবান্ন আমেজ পৌঁছে দিতে বর্ণিল আয়োজন থাকছে সপ্তাহ ব্যাপী।
কৃষিনির্ভর বরেন্দ্র জনপদের মানুষ এই দিনটির অপেক্ষা থাকে বছরজুড়ে।
আমার বার্তা/এল/এমই

