# বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
নারায়ণগঞ্জে তিতাসের কতিপয় কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে বৈধ কারখানার মালিকরা অসহায় হয়েূ পড়েছেন। আর অবৈধ কারখানা সচল থাকার কারণে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তে খোদ তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে নানা সমালোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের ডিজিএম (ভিজিলেন্স) শাহিদুর রহমান কোন আগাম নোটিশ ছাড়াই বৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের কারখানার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। আর অবৈধ কারখানা চলছে অবাধে।
ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতে হঠাৎ বৈধ কারখানায় অভিযান চালান শাহিদুর। কারখানা থেকে মিটার নিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওই কারখানাকে মোটা অংকের টাকায় দেনদরবারের পর মিটার ফিরিয়ে দেয়া হয়। শুধু একটি কারখানাই নয় নারায়ণগঞ্জের বৈধ বহু কারখানায় চলছে এ অবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, শাহিদুর রহমান বিভিন্ন কারখানায় অভিযানের নামে মোটা অংকের টাকার ভাগ দেন নিজ এলাকার বাসিন্দা ডিজিএম মামুনুর রশিদের নাম ভাঙ্গিয়ে। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।
এসব বৈধ কারখানাগুলো যেমন নিউসিটি ডাইং প্র্ইভেট লি:, রনি ডাইং এন্ড ফিনিসিং মিলস, হাজী ডাইং এন্ড প্রিন্টিং মিলস, ফ্রেন্ডস ডাইং এন্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ, মেসার্স সুমা স্টীল রি রোলিং মিলস, মেসার্স প্যাটার্ন ফিনিশিং লিমিটেডসহ আরো বেশকিছু কোম্পানী এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে একই ধরনের অবৈধ কারখানা সচল রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, একেকটি কারখানায় ১০ দিনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার গ্যাস খরচ হয়। শহিদুর রহমান মাঝেমধ্যে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে তাদের কারখানার উৎপাদন বন্ধ ও বিপুল অংকের টাকার লোকসানে পড়েন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও শাহিদুর রহমান ও মামুনুর রশিদের এসব কর্মকান্ড তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিতাসের এমডির বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হযেছে। এছাড়া সরকারের অনলাইন অভিযোগ সেলেও করা হযেছে অভিযোগ। তিতাস সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতিবাজ এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই