সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিচরিত কাছারি বাড়ির অডিটরিয়ামে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কারণে দর্শনার্থীদের পরিদর্শন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে টিকেটের বিনিময়ে আগেই নিয়মেই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কাছারিবাড়ি। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন। দুপুরে কাছারী বাড়ি পরিদর্শন করেন সেনা বাহিনী কর্মকর্তারা।
ঘটনার শুরু ৮ জনু। সেদিন ঈদের ছুটিতে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন এক দর্শনার্থী। এসময় কাছারি বাড়ির গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে ঐ দর্শনার্থীর বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা ১০ জুন শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। পরে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামে দরজা, জানালা, অফিস রুমসহ বেশ কিছু ভাঙচুর চালায়।
ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা জড়িত কারণে কাছারি বাড়িতে দর্শনারদের প্রবেশ ও পরিদর্শন অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা নোটিশ টানিয়ে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা পরিদর্শন করতে না পেরে ফিরে যায়। তবে শুক্রবার থেকে আবার কাছারি বাড়ি খুলে দেওয়ায় দর্শনার্থীদের পদচারনায় আবারো মুখরিত হয়ে উঠে কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণ।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ সচিব (উপ পরিচালক) প্রশাসন বলেন, কাছারী বাড়িতে নিরাপত্তাজনিত কারণেই ২ দিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করা হয় বলে জানান। এতে আজ থেকে তা খুলে দেওয়ায় কাছারি বাড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম আগেই মতো চলবে।
জেলা প্রশাসক জানান, এ ঘটনা সঠিক কারণ অনুসন্ধানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো একটি তদন্ত কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে যদি কাচারি বাড়ির কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনা এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শাহজদপুর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪০-৫০ জন কে অজ্ঞাত আসামি করে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টডিয়ান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
