কিশোরগঞ্জে বসেছে মৌসুমি কসাইয়ের হাট। শনিবার (৭ জুন) ভোরে শহরের শহীদী মসজিদের সামনে শত শত মানুষ আসে ব্যতিক্রমী এ হাটে। সবার হাতে-ব্যাগে রয়েছে পশু জবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি।
হাটে আসা মৌসুমি কসাইদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের অন্যান্য দিনে তারা নিজ নিজ পেশায় নিযুক্ত থাকেন। তখন তাদের কেউ নির্মাণ শ্রমিক, কাঠমিস্ত্রি, রিকশাচালক, সবজি বিক্রি করেন। কেউ আবার ভ্যান চালান। দিনমজুর, হকারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক। ঈদের দিনে তারা কসাইয়ের কাজ করেন বাড়তি ইনকামের আশায়। যারা কোরবানি দেবেন তারাও কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদী মসজিদে সামনের এ হাটে আসেন কসাইদের খোঁজে। দর দাম করে চুক্তি করেন কসাইদের সঙ্গে। জবাই ও মাংস কাটাকাটি থেকে শুরু করে বণ্টনের চুক্তিতে তারা কাজ দিচ্ছেন।
শহরের নগুয়া এলাকা থেকে হাটে এসেছেন রাজিব। তিনি বলেন, ‘বছরের অন্য দিনগুলোতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। প্রতি বছর ঈদুল আজহায় মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করেন বাড়তি ইনকামের আশায়। গত বছরে এক লাখ টাকার গরু কাটতে চারজনে চার হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম। এবার ৫-৬ হাজারে কাটবো। দরদাম হচ্ছে।’
সদর উপজেলার বৌলাই এলাকা থেকে কোরবানি পশু কাটতে এসেছেন বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন,‘২০ বছর ধরে মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করি। দলে রয়েছেন পাঁচজন। এদিনে ইনকামের পাশাপাশি যেটুকু মাংস পাই সেটি নিয়ে বাড়ি যাই।’
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের বিকল্প ইমাম হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই বলেন, ‘সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী ঈদের দিনের আনন্দকেও মাটি করে মানুষের সেবায় দিনটি বিলিয়ে দেন। তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য যাতে তারা পায় সেই দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। মজুরির সঙ্গে সঙ্গে তাদের কোরবানির গোশতের গরিবদের অংশ দেওয়া উচিত। মজুরির বদলে গোস্ত দেওয়া চলবে না।’
আমার বার্তা/এল/এমই