শেরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬০ পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর হস্তান্তর করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
২৬ মে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সেমিপাকা ঘরের প্রতীকী চাবি হস্তান্তরে করা হয়। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের সূচনা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
২০২৪ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন ১ হাজার ৫০০ পরিবারকে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের হাতে চাবি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, স্থানীয় আলেম-সহ আরও অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম রাসেল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দায়িত্বশীলতার সাথে দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সারাদেশে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি শায়খ আহমাদুল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবসময় ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, দরপত্রের মাধ্যমে কয়েকটি কনস্ট্রাকশন ফার্মকে এই প্রকল্পের ঘর নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তবে নির্মাণসামগ্রী কেনা ও প্রতিটি ঘরের নির্মাণকাজ তদারকি করেছেন আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এই প্রকল্পের প্রতিটি ঘর আধাপাকা। যাতে রয়েছে দুইটি কক্ষ ও একটি বারান্দা।
তিনি জানান, শেরপুরের পর শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জেলাতেও গৃহহারাদের ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও জানান, একই মডেলে ইতোমধ্যে ফেনীতে ২৯০টি, লক্ষীপুরে ২৬০টি, নোয়াখালীতে ২৪০টি, কুমিল্লাতে ২৫০টি, ময়মনসিংহে ১০৫টি, চাঁদপুরে ৫০টি, কুড়িগ্রামে ৬৫টি, লালমনিরহাটে ২০টি, নেত্রকোনায় ২৫ টি এবং চট্রগ্রামের মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে ৩৫ টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই