ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর অংশের কানাইপুর তেতুলতলা নামক স্থানে বাস-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১১ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও চারজন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে; তারা হলেন- রাকিব হোসেন, তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩) ও তাদের দুই সন্তান রোহান (৬) ও রায়হান হাবিব (৩) এবং রাকিবের মা হরি। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতেরা সবাই পিকআপের যাত্রী। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঈদ শেষে তারা পিকআপে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
সূত্র জানায়, নিহতদের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ছত্রাকান্দা গ্রামে এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলায়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, যাত্রীবাহী বাসটি ফরিদপুর থেকে যশোরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। আর পিকআপটি ঈদের ছুটি শেষে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের ফরিদপুর বিএসএমএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। দুর্ঘটনায় ফরিদপুর-যশোর মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সব নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নিহতদের পরিবারকে অর্থ সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
আমার বার্তা/জেএইচ