
১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিলেও রাজধানীর বিদ্যালয়গুলোতে চলছে যথারীতি পরীক্ষা।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) সকালে যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হয় ঢাকার স্কুলগুলোতে। তবে এরমধ্যে নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্কুলে কিছুটা বিলম্বে পরীক্ষা শুরু হয়।
শিক্ষকরা বলেন, আন্দোলনের কারণে শিশুশিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপর প্রভাব না পড়ুক সেটা চান না তারা। তবে সরকারকে তাদের দাবিও বিবেচনা করতে হবে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও নির্দেশ আছে বলেও জানান শিক্ষকরা।
এদিকে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপরে। তাই সরকার এবং শিক্ষক উভয়পক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে।
শিক্ষকরা দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও সরকার এখনও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা আসে তাদের পক্ষ থেকে।
এর আগে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি ‘যৌক্তিক’ বলে বিবেচিত হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পে-কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পে-কমিশনে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ সময়ে কর্মবিরতির কর্মসূচি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবে। তাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা পরিপন্থি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষকদেরকে অনুরোধ করা হল।
আমার বার্তা/এল/এমই

