চলতি মাসের আগামী সোমবারের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠন করে বুধবারের মধ্যে তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। এসময় ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনের সামনে জড়ো হয়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলাভবন, হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করে।
নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে ডাকসু নির্বাচনসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বাগছাসের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের সোমবারের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন এবং বুধবারের মধ্যে তফসিল ঘোষণার আল্টিমেটাম দেন।
এসময় তারা ‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার, আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই, সাম্য ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে, উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, ডাকসু ডাকসু’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ভিসি-প্রক্টরের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা নির্বাচন হতে পারে কিন্তু ডাকসু নির্বাচন হতে পারে না। যদি আপনারা নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও ডাকসু নির্বাচন না দিতে পারেন তাহলে আপনারা ওই আসনের যোগ্য না।
এসময় আব্দুল কাদের বাগছাসের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন—
১. সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিত করা।
২. ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাগছাসের মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাস্সির বলেন, একটি শ্রেণি ডাকসু পেছাতে চায়। সাম্য হত্যাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনের যে নির্লিপ্ততা, তাকে পুঁজি করে একটি শ্রেণি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওপর দায় দিয়ে ডাকসু নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন পুরোপুরি সক্ষম হয়নি। এটি তাদের ব্যর্থতা। তবে যে ব্যর্থতার দায় ভিসি-প্রক্টরের নয়, তা ভিসি প্রক্টরের ওপর দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে, আমরা তার নিন্দা জানাই।
এসময় তিনি দাবি করেন, এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে তা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ডাকসু নিয়ে আলোচনার জন্য তাদেরকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে বললেও বাগছাস নেতারা প্রথমে এর বিরোধিতা করে তারা প্রশাসনের কাছে যাবে না জানিয়ে প্রশাসনকে বিক্ষোভস্থলে আসতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৫ সদস্যের একটি প্রতিদিন দল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে। প্রতিবেদনটি তৈরি করা পর্যন্ত (বিকেল ৪ টা) তারা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই