পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি।
রোববার (১১ মে) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ভারতের র’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বাংলাদেশ, ভারত ও আরাকানে বিস্তৃত ইউপিডিএফের মত একটা ত্রিদেশীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কীভাবে বৈঠক করার নৈতিক সাহস পেলো, সেটা আমাদের বুঝে আসছে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যসহ পাহাড়ের বহু নিরীহ মানুষের রক্ত যাদের হাতে, সেই সন্ত্রাসীদের সাথে বৈঠক উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অতএব ঐকমত্য কমিশনের যেসব সদস্যের সহায়তায় ইউপিডিএফকে রাজনৈতিক সংগঠনের স্বীকৃতি দিতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে তাদেরকে অতিদ্রুত অপসারণ করতে হবে, শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যাকারী আরাকান আর্মির সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান মানে পাহাড়ের স্বায়ত্তশাসনকে স্বীকৃতি প্রদান করা একই কথা। এর পরের ধাপই হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্বপ্নের জুম্মল্যান্ড গঠন। ইউপিডিএফ এর সাথে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে বিচ্ছন্নতাবাদকেই উস্কে দেয়া হলো। অতিদ্রুত টিআইবির ইফতেখারসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দোসরদেরকে ঐকমত্য কমিশন থেকে অপসারণ করতে হবে।
সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ৫ দফা দাবি জানানো হয়-
১. ইউপিডিএফের এর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক বাতিল করতে হবে।
২. সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদেরকে অপসারণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খ্রিস্টানাইজেশন রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. পাহাড় থেকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই